বিসিডিএস কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের সংশোধিত তফশীল অনুযায়ী গতকাল রোববার ৪৩টি পদের বিপরীতে ৯৯জনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন বোর্ড।
এদিকে, নির্বাচনে প্রকাশিত ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ফ্রেশ-তফশীল ঘোষণা না করা, একটি পক্ষের প্রার্থীদের প্রচারণায় একেবারেই কম সময় পাওয়া, রমজানের সময় ভোট না করাসহ যেসব দাবি মাঠ পর্যায় থেকে করা হয়েছিল সেগুলোকে তোয়াক্কা না করেই নির্বাচন বোর্ড পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ১৬ এপ্রিল সারাদেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অর্থাৎ তৃণমূল পর্যায় থেকে সব ভোটারদেরকে বিভাগীয় সদরের কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করতে হবে।
নির্বাচন ঘোষিত গতকালকের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় দেখা গেছে, দু’টি পরিষদের বাইরেও ১৩জন বাড়তি প্রার্থী রয়েছেন। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অপরদিকে, ভোটার তালিকা সম্পর্কে যেসব আপত্তি এনে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর খুলনা শাখার মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি মো: মোজাম্মেল হক গত ২০ মার্চ যে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তাতে দেখা যায়, খুলনা জেলা শাখার ২৩৯ নম্বর ও ১১৬০ নম্বরের ভোটার একই ব্যক্তি অর্থাৎ অনুপম নাথ। অর্থাৎ একই ব্যক্তির মালিকানাধীন একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকলে তিনি কিভাবে একাধিক ভোট দেবেন সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া ৬৬৭, ৬৭৬, ৬৭৭, ৩৪৪, ৫৯৭, ৫২৭, ৬৪৬, ১৫৯, ১৭২, ৩৪, ৬৬০, ৬৫০, ৬৫৬, ৬৭০, ৩৪৫ ও ৩৪৭ নম্বরের ভোটার যথাক্রমে শেখ হাসান আলী সওকাত, এস এম মেহেদী হাসান, মো: আলমগীর হোসেন, সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, মো: রিপন শেখ, মো: আশরাফুজ্জামান, মো: ফরহাদ হোসেন, মো: মিজানুর রহমান, কাজী শামিম হোসেন, শেখ শাহনেওয়াজ পাকির, নাজিব আহমেদ আকাশ, খান মো: আশিকুজ্জামান, জয় চন্দ্র শীল, মো: তৌফিক হোসেন, মো: আশরাফুল ইসলাম রাজু ও মো: রাহাত হোসেনের বৈধ ড্রাগ লাইসেন্স নেই। যেটি সমিতির গঠণতন্ত্রের আর্টিকেলস্ অব এসোসিয়েশনের ৩ নম্বর শর্তের পরিপন্থী। এছাড়া বেশকিছু ভোটারের বিপরীতে দেয়া টিআইএন নম্বরের সত্যতা যাচাই করতে গতকাল রোববার খুলনা আয়কর অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অনেক টিআইএন নম্বরের সাথে প্রতিষ্ঠানের কোন মিল নেই। অর্থাৎ কিছু নম্বর দেয়া হয়েছে সম্পূর্ণ ভুয়া।
এছাড়া গতকাল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হলেও এখনও অনেকের কাছে ভোটের পরিচয়পত্র পৌঁছেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। ভোটের মাত্র চারদিন বাকী থাকলেও কিভাবে এসব পরিচয়পত্র ভোটারদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হবে সেটি নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।