মাগুরায় ছাত্রাবাসে পাঁচ ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে নির্যাতন ও ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাগুরা পৌরসভার সাজিয়াড়া এলাকার একটি মেসবাড়ি থেকে ওই পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়।বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাত জনের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তির নাম ইশতিয়াক আহমেদ (২৭)।তিনি সাজিয়াড়া এলাকার বাসিন্দা।
উদ্ধার হওয়া পাঁচ ব্যবসায়ী হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ফা গ্রামের রাজীব সরদার (২৪), হৃদয় সরদার (২১), বাবু শেখ (২৪), ওসমান শেখ (২৪) ও রিয়াদ ইসলাম (২৩)।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, ২১ মে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক সামগ্রী বিক্রির জন্য মাগুরায় আসেন ওই পাঁচ যুবক। এ জন্য তারা সাজিয়াড়া এলাকায় ‘এম এস ছাত্রাবাস’ নামের একটি মেসে দুটি কক্ষ ভাড়া নেন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দা ইশতিয়াক আহমেদসহ ৮-১০ জন সেই মেসে ঢুকে তাদের জিম্মি করে নির্যাতন চালান। এ সময় তাদের মারধরের পাশাপাশি হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। তাদের বাড়িতে কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে বলা হয়।উদ্ধার ব্যবসায়ীদের একজন রাজীব সরদার বলেন, রাতে জোরে গান বাজিয়ে আমাদের মারধর করে ও ভিডিও ধারণ করা হয়।আমাদের দুজনকে রাতে একটি শ্মশানে নিয়ে হত্যার হুমকি দেয় ওরা। সকালে আলাদা আলাদা ঘরে আমাদের বন্দী করে রাখে। পরে সেনাবাহিনী এসে আমাদের উদ্ধার করেছে।
মাগুরা সেনাক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবকদের আটকের পর মারধরের একটি ভিডিও চিত্র তাদের হাতে এসেছে। সেখানে দেখা যায়, চার যুবককে পাশাপাশি দেয়ালের দিকে দুই হাত উঁচু করে দাঁড় করিয়ে এক ব্যক্তি লাঠি দিয়ে তাদের পেটাচ্ছেন।বুধবার দুপুরে খবর পেয়ে সাজিয়াড়া গ্রামের ‘এম এস ছাত্রাবাস’ও পাশের একটি বাড়ি থেকে তালা ভেঙে ওই পাঁচ যুবককে উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই গ্রামের ইশতিয়াক আহমেদের (শান্ত) বাড়ি থেকে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ইলেকট্রনিক সামগ্রী উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। পরে ওই মেসবাড়ি থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সামগ্রী, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইয়ুব আলী বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি জড়িত অন্য ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।