ছুটি না বাড়িয়ে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে কোনো সুপারিশ দেওয়া হয়নি।বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা।

তিনি বলেন, যেহেতু এখন করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে ও সকল শিক্ষার্থী দুই ডোজ টিকা নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে বিবেচনা করা যেতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও সরকারের দেওয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানতে হবে। নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কেনো নির্দেশনা দেয়া হবে না।

সব শ্রেণির ক্লাস খুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কি-না জানতে চাইলে ডা. সহিদুল্লা বলেন, যাদের বয়স ১২ বছরের বেশি এবং যারা টিকা নিয়েছে, আপাতত তাদের ক্লাস চলতে পারে। সেক্ষেত্রে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে যারা পড়াশোনা করে, তাদের ক্ষেত্রে বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে। আর যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে তাদের ব্যাপারে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

কারিগরি কমিটির সভাপতি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে থেকে খুলবে এটি সরকারের ব্যাপার। তবে আমরা মনে করছি এখন আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রয়োজন নেই।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সংক্রান্ত বিষয়ে ব্রিফ করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই ব্রিফিং হবে।

এর আগে করোনা বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ আছে। এই ছুটি আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবার করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেড় বছর পর ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও চালু হয়।