জুনের ১ তারিখ থেকে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২২ গজের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফরম্যাটের জন্য মুখিয়ে থাকে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। এখনো ৭৩ দিন বাকি থাকলেও শুরু হয়ে গেছে বিশ্বকাপ উন্মাদনা। বৈশ্বিক সেই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুই বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ক্রিস গেইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বোলার আলী খান নিউ ইয়র্কের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ে শিরোপা ভ্রমণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।সে সময়ে পুরো বিল্ডিং গোলাপি রঙের অপরূপ আভায় ফুটে ওঠে। খেলা মাঠে গড়ানোর আগে এই শিরোপা যাবে চার মহাদেশের মোট ১৫টি দেশে। এর মধ্যে ফুটবলের জন্য জনপ্রিয় দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনায়ও নেওয়া হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কাঙ্ক্ষিত ট্রফিটি।নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ে যখন ট্রফি ভ্রমণের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছে, তখন নৌবাহিনীর মহড়া এবং গোলাপি রঙের আলো অন্যরকম অনুভূতি দিয়েছে ক্রিকেটভক্তদের। ক্রিস গেইল ও আলী খান একটি লিভার টেনে এই কর্মযজ্ঞের শুরুটা করেছিলেন। বিশ্বকাপের নবম আসরটি এবার যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে। সেজন্য ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে গেইল এবং মার্কিনদের পক্ষে আলী সেখানে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মোট তিনটি ভেন্যুতে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো হবে। ভেন্যু তিনটি হলো- নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, ডালাসের সংস্কার করা গ্র্যান্ড প্রেইরি ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং লডারহিলের ব্রোওয়ার্ড কাউন্টি স্টেডিয়াম। এর মধ্যে নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি একবারে নতুন। যেখানে ৩৪ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবেন। নিউ ইয়র্কে মোট আটটি ম্যাচ আয়োজন করা হবে। আর অন্য দুটি ভেন্যুতে চারটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোট ছয়টি ভেন্যুতে খেলা হবে। ভেন্যুগুলো হলো- অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বার্বাডোস, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো। এদিকে ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে ভক্তদের আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে লোভনীয় পুরস্কারের এক ঝলক দেখানোর ব্যবস্থা করায় মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তরা। আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই শিরোপা ভ্রমণের সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। এই সময়ে হিউস্টন, গ্র্যান্ড প্রেইরি এবং ডালাস, বুয়েনস আইরেস, সাও পাওলো, জ্যামাইকা, বার্বাডোজ, অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা ও সেন্ট লুসিয়াতে ভ্রমণপর্ব চলবে।আইসিসির বিপণন এবং যোগাযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ক্লেয়ার ফারলং বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এর প্রথম বল মাঠে গড়াতে আর তিন মাসেরও কম সময় বাকি আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হতে চলেছে এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে। আমরা যখন বিশ্বকাপের জন্য ক্ষণ গণনা করছি, তখন ভক্তদের জন্য সারা বিশ্বে ট্রফি ভ্রমণ করবে। তারাও যেন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন। এই ভ্রমণ আমেরিকা মহাদেশ জুড়ে ব্যাপকভাবে চলবে। নতুন এবং পুরোনো অনুরাগীদের মধ্যে আবেগকে প্রজ্বলিত করার বিষয়টিও থাকবে।’ ক্লেয়ার আরো বলেন, ‘ক্রিকেটে এক বিলিয়নেরও বেশি ভক্ত রয়েছে। আগামী ২৯ জুন বার্বাডোজে বিজয়ী অধিনায়ককে যে ট্রফিটি তুলে দেওয়া হবে, সেটি তারা সামনে থেকে দেখতে পাবেন এই ভ্রমণের কল্যাণে। আমরা যতটা সম্ভব বেশি লোককে সেই দেখার সুযোগ করে দিতে চাই।’টি-টোয়েন্টির ট্রফি ভ্রমণের সবশেষ পরিস্থিতি ভক্তরা আইসিসির সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ওয়েসাইটের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এ দিকে ভক্তদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সমপ্রতি ৫৫টি ম্যাচের ৫১টিতেই অতিরিক্ত টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। এই টিকিটগুলো এখন থেকে প্রতিটা ভেন্যুতে গিয়ে দর্শকরা সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও tickets.t20worldcup.com ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ভক্তরা তাদের অভিজ্ঞতা ও টিকিট বিষয়ক সমস্ত তথ্য জানতে ও জানাতে পারবেন।