প্রধান আসামী ডা: সুহাস এখনও পলাতক

স্টাফ রিপোর্টার ঃ নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন সাত্তার বিশ^াস সড়কে নারী চিকিৎসক মন্দিরা মজুমদার আত্মহত্যার পক্ষকালের মাথায় গ্রেফতার হলেন উক্ত আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার দ্বিতীয় আসামী সিথি মনি হালদার। শুক্রবার দিবাগত রাতে বাগেরহাটের মংলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কেএমপির সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ। গতকাল তাকে খুলনার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, উক্ত মামলার প্রধান আসামী ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার এখনও পলাতক রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে ১১ মে পর্যন্ত তিনি পারিবারিক কারণ দেখিয়ে ছুটিতে থাকলেও গতকাল পর্যন্ত তিনি কর্মস্থলে হাজির হননি। এ ব্যাপারে খুমেক হাসপাতালের অপর আরএমও ডা: অঞ্জন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার নিয়ম বহির্ভুত অনুপস্থিত রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই সুকান্ত দাস বলেন, প্রধান আসামীকে এখনও খুঁজে পাওয়া না গেলেও তার বোন ও মামলার দ্বিতীয় আসামী সিথি মনি হালদারকে শুক্রবার রাতে মংলা থেকে গ্রেফতার করে সোনাডাঙ্গা থানায় আনা হয়। গতকাল দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় নিজ ঘরের ফ্যানের হুকের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন ডা: মন্দিরা। তিনি খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন গত বছর ডিসেম্বরে। এরপর মজিদ সরণীর ৮৮/১ এর বাড়িতে থেকে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন তিনি। পরে তার পিতার অপারেশনের সূত্র ধরে খুমেক হাসপাতালের আরএমও’র সাথে পরিচয় হয়। ডা: সুহাস তার আগের বিয়ের কথা গোপন রেখে ডা: মন্দিরার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুললেও তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে ডা: মন্দিরার ভ্রুণ নষ্ট করা হয়। বার বার বিয়ের কথা বলে প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় ডা: মন্দিরা সর্বশেষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। ডা: সুহাসের এ অপকর্মের সহযোগি হিসেবে তার বোন সিথি মনি হালদারকেও আসামী করে নিহত ডা: মন্দিরার পিতা প্রদীপ মজুমদার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।