সদর থানা আওয়ামীলীগ আয়োজিত গণসমাবেশে সেখ জুয়েল এমপি

স্টাফ রিপোর্টার ঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেছেন, খুলনার জলাবদ্ধতা নিরসনে ভৈরব ও রূপসা নদী খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নগরীর ময়লাপোতা থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ছয় লেনে উন্নতিকরণের কাজ চলছে। চলছে শিশু হাসপাতালের নির্মাণ কাজও। ক্যান্সার ও মানসিক হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এক কথায় খুলনাকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়তে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করার আহবান জানান তিনি।
তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক সংলগ্ন সড়কে খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গণসমাবেশে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সদর থানা আওয়ামী লীগ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ এবং খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা।
সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর কবীর, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, মহানগর কৃষক লীগের আহ্বায়ক এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, জাতীয় শ্রমিক লীগ খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পদক রনজিত কুমার ঘোষ, জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা, মহানগর যুব লীগের আহ্বায়ক মো. সফিকুর রহমান পলাশ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, সদর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরানী রহমান বিউটি। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. সরদার রজব আলী, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মিন্টু, আবুল কালাম আজাদ কামাল, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, এ্যাড. আনিছুর রহমান পপলু, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাজী জাহিদুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান সাগর, এস এম আকিল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব হোসেন, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এম এ নাসিম, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, আব্দুল হাই পলাশ, ফেরদৌস হোসেন লাবু, বাবুল সরদার বাদল, এ্যাড. মো. ফারুক হোসেন, চৌধুরী মিনহাজুল ইসলাম সজল, মো. নজরুল ইসলাম, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, আযম খান, এমরানুল হক বাবু, কাউন্সিলর মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর কণিকা সাহা, কাউন্সিলর রেকসোনা কালাম লিলি, এ্যাড. এনামুল হক, ড. সাঈদুর রহমান, কাজী কামাল হোসেন, পারভীন ইলিয়াছ, মো. জিলহাজ্ব হাওলাদার, নুর জাহান রুমী, জেসমিন সুলতানা শম্পা, মোর্শেদা দেলোয়ার মলি, তাইজুল ইসলাম তাজু, মাহবুব মোর্শেদ লেমন, আশরাফুল আলম বাবু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, শেখ রায়হান উদ্দিন, মো. শহীদুল হাসান, মো. কানাই রায়, আমিরুল ইসলাম বাবু, তাপস রায় চৌধুরী, সরদার আসাদুল ইসলাম সানি, মাহমুদুল হাসান সুজন, মাহমুদুর রহমান রাজেশ, এম এ হাসান সবুজ সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে উন্নয়ন হয়, আর বিএনপি-জামায়াত উন্নয়ন বন্ধ করে দেয়। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণকাজ শুরু করলেও বিএনপি বন্ধ করে। আবার শেখ হাসিনা পদ্মাসেতুর উদ্যোগ নিলেও বিএনপি বলে মাওয়ায় পদ্মা সেতু হবে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে এদেশের উন্নয়ন বন্ধের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা ২১ বছর ক্ষমতায় এসে ধীরে ধীরে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। ২০০১ সালের পর পরবর্তী পাঁচ বছর সে উন্নয়নের ধারা আবারও থমকে দেয়া হয়েছিল। পরে আবারো আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে ধীরে ধীরে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে। সুতরাং দেশবাসী আবারও আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।
সম্মানিত অতিথি শেখ জুয়েল এমপি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে আজ বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে যে অবস্থানে, মাত্র ১০ বছরের আমরা সেখানে পৌঁছতে পারতাম। বঙ্গন্ধুকে হত্যার পরে পাকিস্তানের দালালরা ও স্বাধীনতার বিপক্ষের শত্রুরা এদেশকে এগিয়ে যেতে দেয়নি। তারা দেশবিরোধী চক্র ও ধর্ম ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দিয়েছে। যারা দেশের উন্নতিকে বাধাগ্রস্থ করেছে। তারপরও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার সঠিক নেতৃত্ব ও বিচক্ষণতায় বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন আমাদের দেশ পৃথিবীর উন্নয়ণের রোল মডেল।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে পদ্মা সেতু, কর্নফুলি ট্যানেলের মতো মেগা প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নত দেশ হিসেবে আবির্ভাব হবে। আওয়ামী লীগের বিজয়ে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে বলেও বক্তারা আহবান জানান।