/ তেরখাদায় কাঁচা মরিচের আগুন দাম,সবজির বাজারে অস্থিরতা

তেরখাদায় কাঁচা মরিচের আগুন দাম,সবজির বাজারে অস্থিরতা

এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে তিনগুণ

অবিরাম বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থায় তেরখাদার কৃষক ও ভোক্তারা। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনগুণ।


গত সপ্তাহেও যেখানে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে, সেখানে এখন কাটেঙ্গা, জয়সেনা ও তেরখাদা বাজারে এই মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। গতকাল শনিবার দুপুরে কাটেঙ্গা বাজারে মরিচ কিনতে এসে হতবাক হয়ে যান দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা খান সিরাজুল ইসলাম। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “সপ্তাহখানেক আগেও আধা কেজি মরিচ কিনেছি ২৫-৩০ টাকায়। এখন এক পোয়া কিনতেই ৭০ টাকা লাগছে! এটা সাধারণ মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব।”


খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে ঠিকভাবে মরিচ তুলতে পারছেন না। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। এর ফলে পাইকারি দামে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। কাটেঙ্গা বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা সিরাজ শেখ বলেন, “টানা বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গেছে। কৃষকরা মরিচ তুলতে পারছেন না। তাই পাইকারির দামই এখন দ্বিগুণ।”


পাইকারি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, “গত সপ্তাহে যে মরিচ ৮০-১০০ টাকায় কিনেছি, সেটাই এখন ২০০ টাকার ওপরে কিনতে হচ্ছে।” শুধু মরিচ নয়, বেগুন, ঢেঁড়স, করলা, পটোল, লাউ—প্রায় সব সবজির দামই ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এমনকি পেঁয়াজের দামও কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। বাজারে আসা অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেছেন, প্রতিদিনই নতুন দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। এক বিক্রেতা বলেন, “মাঠে পানি জমে থাকায় ঠিকভাবে পণ্য তুলতে পারছেন না কৃষকরা, আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে আমাদের।”


এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা যুগান্তরকে বলেন, “বাজার মনিটরিং নিয়মিত করা হচ্ছে। কেউ যদি অস্বাভাবিকভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়রা বলছেন, বৃষ্টির প্রকোপ না কমলে বাজারে এই অস্থিরতা সহজে কাটবে না। একই সঙ্গে তারা প্রশাসনের নজরদারি আরও জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।