/ তেরখাদায় সংঘর্ষে ১০ জন আহত: দেশী তৈরী অস্ত্র উদ্ধার, আটক ১৯

তেরখাদায় সংঘর্ষে ১০ জন আহত: দেশী তৈরী অস্ত্র উদ্ধার, আটক ১৯

নিজস্ব সংবাদদাতা. তেরখাদা (খুলনা): গত ১৩ জুন সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বারাসাত গ্রামে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে বিবদমান দু’টি গ্রæপের মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। এ সময় ২/৩টি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৬জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনার খবর শুনে নৌবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর সদস্যরা দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনার সাথে জড়িত ১৯জন কে গ্রেফতার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। এ সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা বারাসাত গ্রাম এলাকায় তল্লাসী চালিয়ে দেশী তৈরী বিপুল পরিমান অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার বারাসাত গ্রামের পলাশ শেখ(মেম্বার) ও রবিউল ইসলাম টুটুল(মেম্বার) গ্রæপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর আগেও কয়েকদফা হামলা,মামলা, সংঘর্ষ, ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া চলে আসছে। সর্বশেষ গত ১৩ জুন সকালে উভয় গ্রæপের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সকাল ৯টার দিকে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে উভয় গ্রæপের কমপক্ষে ১০জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে টুটুল মেম্বার গ্রæপের বাসার শেখ(৪৮), খায়ের শেখ(৪২), আসলাম কাজী (৪৮), হাসিব মোল্যা(৩০),দানা সরদার(৫০) এবং পলাশ মেম্বার গ্রæপের ইসরাফিল ম্যোলা (৬২) কে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত অন্যান্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করে। এ ঘটনার পর নৌবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষকে হটিয়ে দেয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার আতংকে বারাসাত গ্রাম এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যৌথ বাহিনী ও পুলিশের টহল অব্যাহত আছে। যৌথ বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় প্রবেশ করলে সংঘর্ষে অংশ নেয়া লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যরা বিলের মধ্যে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর যৌথবাহিনীর সদস্যরা বারাসাত গ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৯জন কে আটক করে। যৌথ বাহিনী ও পুলিশের টহল অব্যাহত আছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।