মফিজুল ইসলাম জুম্মান,তেরখাদা(খুলনা): তেরখাদা উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ জয়সেনা-গাজিরহাট সড়কটি ভাঙ্গনের এক বছর অতিবাহিত হলেও সড়কের উন্নয়নে উদ্যোগ উদ্যোগ না নেওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌছেছে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের দিকে ৫দিনের টানা বর্ষণে এলজিইডি’র অর্ন্তভুক্ত তেরখাদা উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ জয়সেনা-গাজীরহাট সড়কের জয়সেনা ও পানতিতা এলাকার ৭/৮টি স্পট চিত্রা খাল গর্ভে বিলীন হয়ে সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়। স্পট গুলোতে ভ্যান রিক্সা, সিএনজি, ইজিবাইক, টেম্পো, নসিমন, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন ও পরিবহন চলাচলে দারুণভাবে ঝুঁকি হয়ে দাড়ায়। সড়কের পানতিতা নাপিত বাড়ির সামনে, পানতিতা কাটেঙ্গা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের পশ্চিম পার্শ্বে, পানতিতা মাদ্রাসার পাশে,পানতিতা বিল্লাল মোল্যার বাড়ির সামনে, পানতিতা মধ্যবাড়ির সামনে, পানতিতা বোর্ড স্কুলের পাশে এবং জয়সেনা গ্রামের কয়েকটি স্পটে ভেঙ্গে যায় এবং ফাটল দেখা দেয়। এসব জায়গায় অচীরেই ব্যবস্থা নেয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এলাকার বিভিন্ন পরিবহন চালকরা এবং সড়কে চলাচলকারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। অভিভাবকরা তাদের কোমলমতী সন্তানদের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পাঠাতে হিমশিম খাচ্ছে। সড়কে চলতে গিয়ে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে এমন আশংকা করা যাচ্ছে। জয়সেনা-গাজীরহাট সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন যানবাহনে অগণিত মানুষ একস্থান থেকে অন্যস্থানে চলাচল করে। বলা যায়, কাক ডাকা ভোর থেকেই জনসাধারণের চলাচল শুরু হয়, চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সড়কে ভাঙ্গন লাগায় এখন নির্বিঘেœ চলাচল ঝুঁিক হয়ে দাড়িয়েছে।সড়কটি এর আগেও প্রবল বর্ষণে খাল গর্ভে বিলীন হয়ে ১৭/১৮টি স্থানে চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। বেশ কয়েক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর ভাঙ্গন রোধে নামকাওয়াস্তে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ চড়াই উৎরাই করে ২০১৫ সালের দিকে জয়সেনা-গাজিরহাট সড়কটির পানতিতা-জয়সেনা অংশের পাকাকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছিলো। সড়ক পাকাকরণের পর বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ অতি সহজে একস্থান হতে অন্যস্থানে যাতায়াত করতে শুরু করে। দীর্ঘদিন পর সড়কটি পাকাকরণ হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশাও পূরণ হয় এবং ফিরে আসে জনমনে স্বস্তি। গত দুই/তিন বছর আগেও সড়কটি সংষ্কার করা হয়। ফলে তেরখাদার পানতিতা,ভবানীপুর,বারাসাত, হরিদাসবাটী এলাকার মানুষ বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পায়। সড়কটি আবারও ভাঙ্গন লাগায় জনমনে হতাশার জন্ম দিয়েছে।
তেরখাদা উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় জনসাধারণের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ছোট ছোট পরিবহন বিশেষ করে ইজি বাইক, ভ্যান, মটর সাইকেল চলছে ঝুঁকি নিয়ে। বর্তমান অবস্থায় স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসায় পড়য়া কোমলমতী শিক্ষার্থীদের অভিভাবরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। সড়কটি দ্রæত সংস্কার করা না হলে সড়ক ভেঙ্গে চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ভাস্কর মৃধা সড়কের উন্নয়নে কোনো জবাব দিতে পারেন নি।