আদালতে আসামীর স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খুলনা তেরখাদা থানার চাঞ্চল্যকর রবিউল হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইসারত শেখ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন মৃত রবিউলের স্ত্রীকে বিয়ে করতেই তিনি এ হত্যাকান্ড ঘটান। মামলার ভিকটিম মোঃ রবিউল মোল্লা গত বছরের ২৩ জুন দিবাগত রাতে নিজ বাড়ীতে কথিত কবিরাজ রবিউলের পরিবারের সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে কবিরাজির নাম করে পরিকল্পিতভাবে শ^াসরোধ করে হত্যা করে। সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহিদুল ইসলাম শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ইসারত শেখ জানান, রবিউলের দ্বিতীয় স্ত্রী শামিমা খাতুনের সাথে তার সম্পর্ক হওয়ার পর রবিউল এটা জেনে যায়। নিহত রবিউল এই নিয়ে স্ত্রী শামিমা খাতুনকে মারধর করেন এবং ইসারতকে হত্যার হুমকি দেন। এই কারণে তিনি রবিউলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক রবিউলের প্রথম স্ত্রী বালিনা খাতুনকে ফোন করে নিজেকে কবিরাজ পরিচয় দিয়ে বলেন, তার কাছ থেকে তদবির নিয়ে রবিউল তার শ্যালক লিটু মোল্লার স্ত্রী শামিমাকে প্রেমে ফেলে বিয়ে করেছে। তার কাছ থেকে তদবির নিয়ে রবিউল তার ছোট ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে ফেলে পরের স্ত্রীকে নিয়ে গেছে এটা জানার পর থেকে সে খুব মনোকষ্টে আছে। যদি সে একটি সুযোগ পেত তাহলে ফিরতি তদবির দিয়ে রবিউলকে তার প্রথম স্ত্রী সংসারে ফিরিয়ে দিতে পারত। এভাবে রবিউলের প্রথম স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের আস্থা অর্জন করে ওনদিন রাতে পরিবারের সদস্যদের সহোযোগীতায় কবিরাজির নামে চেতনা নাশক ঔষধ দিয়ে রবিউলকে প্রথমে অজ্ঞান করে তার হাত-পা বেধেঁ ফেলে। পরে ঘর থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে কথিত কবিরাজ ইসারত শেখ শ্বাসরোধ করে রবিউলকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় নিহত রবিউলের ভাই খোকন মোল্লা বাদি হয়ে এজাহার নামীয় ৭ জনসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে তেরখাদা থানার মামলা করেন। মামলাটির তদন্তভার সিআইডি গ্রহন করে তদন্ত করে। সিআইডি খুলনার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহিদুল ইসলাম শাহীন দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস তদন্ত করে রবিউল হত্যার মূল হোতা কথিত কবিরাজ ইসারত শেখকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।