এস,এম মফিজুল ইসলাম জুম্মান, তেরখাদা(খুলনা) ঃ প্রতিবছরের ন্যায় এ মৌসুমে তেরখাদার বিভিন্ন বিলে অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়েছে। আর পাখির আগমন শুরুর সাথে সাথেই শিকারীরাও পাখি নিধনে তৎপর হয়ে উঠেছে। গত নভেম্বর মাস থেকেই নির্বিচারে অতিথি পাখি নিধন শুরু হয়েছে। শিকারীরা পাখি ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় তথা তেরখাদার প্রত্যন্ত এলাকার হাট-বাজারে প্রতিনিয়ত বিক্রি করলেও প্রশাসনের কোনো তদারকি নেই। শীত মৌসুম শুরু হলেই উপজেলার জলাবদ্ধ ভুতিয়ার বিল এবং বিল বাসুয়াখালিসহ কয়েকটি বিলে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। এ সুযোগে ওৎ পেতে থাকা সুচতুর পাখি শিকারীরা পাখি শিকারে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ভুতিয়ার বিল, বাসুয়াখালি বিল, নলামারা বিলসহ কয়েকটি বিল থেকে শ’ শ’ পাখি নিধন হচ্ছে প্রতিদিন। পাখি শিকারীরা রাতভর পাখি শিকার করে সকালে বিক্রির জন্যে দিগি¦দিক ছোটাছুটি করে। বিভিন্ন এলাকা থেকে শিকারীদের আগমন ঘটে। কেউ ফাঁদ পেতে,কেউ জাল পেতে, কেউ সিটকানি পেতে, কেউ ভাত ও ঢ্যাপের সাথে কীটনাশক মিশিয়ে, কেউ ফড়িং/ঢেল্লার সাথে কুরাটার মিশিয়ে বিলের পানতা পাতার ওপর রেখে শিকারীরা পরে পাখি তাড়িয়ে ওই ফাঁদ এবং পানতা পাতার দিকে নিয়ে যায়। অতিথি পাখি ফাঁেদর ওপর পড়া মাত্র শিকারীরা ধরে ফেলে। আবার পানতা পাতার ওপরে কীটনাশক মাখানো খাবার খেয়ে পাখিরা ধীরে ধীরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ সময় শিকারীরা দ্রুত পাখি ধরে শাপলার মাধ্যমে ওদের পেটের ভেতরে সরিষার তেল ঢুকিয়ে দেয়। এতে পাখিরা বমি করে দেয় এবং ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে। কীটনাশক কৌশল অবলম্বন করায় বহু পাখি মারাও যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক পাখি শিকারী জানায়, বিভিন্ন বিলে তেলকুয়া, ডুংখোর, চেগা, বই পাখি,কুড়া পাখি, তেলকুচ, নাড়লী, পেচী নাড়–লী, হাঁস পাখিসহ নানা জাতের অতিথি পাখি ধরা পড়ছে। তবে দিঘেড় পাখির পরিমান খুবই কম। কৃষকদের কাছে জানা যায়, ভুতিয়ার বিল, বিল বাসুয়াখালি,নলামারা বিল, কোলা বিল, সস্তারবিল বিলসহ কয়েকটি বিল এখন পাখি শিকারীদের আড্ডাস্থল।