দলীয় লোগো পরিবর্তন করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ইতোমধ্যে নতুন লোগোর খসড়া নকশা তৈরি করা হয়েছে। এজন্য শিবিরের সাবেক কয়েকজন নেতা ও একটি কারিগরি দল কাজ করছেন। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন লোগো উন্মোচন করবে দলটি।
জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, নতুন লোগোর মাধ্যমে জেন-জি তথা নতুন প্রজন্মকে বিশেষ ম্যাসেজ দিতে চান তারা।জানা যায়, জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক লোগো পরিবর্তন করা হচ্ছে মর্মে সামাজিক যোগোযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই পোস্ট করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা বলেন, ‘জামায়াতের আগের যে লোগো রয়েছে, সেটি মডিফাই করে নতুন লোগো তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে একাধিক নতুন লোগো ডিজাইন করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত লোগো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে।
জানা গেছে, রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমিরের কার্যালয়ে গিয়ে ব্রেকফার্স্ট ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা ওচোয়া দে চিনচেত্রু। ওই বৈঠকে শীর্ষ দুই নেতার পেছনে চিরচেনা লোগোর পরিবর্তে জামায়াতে ইসলামীর নতুন একটি লোগো সংবলিত পতাকা ও ব্যানার চোখে পড়ে। যা সামনে আসতেই আলোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। নতুন লোগোতে দেখা যায় দাঁড়িপাল্লা ঠিক আছে এবং পাল্লার যে দণ্ড সেটি কলম আকৃতির। কলমের নিম্নভাগ লাল রঙের মাঝে এবং চারপাশের ব্যাকগ্রাউন্ড সবুজ। আর দলের নাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যা বাংলা ও আরবিতেও লেখা আছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জামায়াতের কয়েকজন নেতা বলেন, ‘আসলেই জামায়াতের ইসলামী তার দলীয় লোগোতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের নতুন লোগো উন্মোচন করতে পারে দলটি।’
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনালের ও সাবেক এমপি ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আগের লোগোটি যে কনসেপ্ট নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল, সেখানে আরেকটু মডিফাই করে নতুনভাবে লোগো ডিজাইন করা হচ্ছে।’ ইতোমধ্যে একাধিক ডিজাইনের লোগো তৈরি করে প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন লোগো তৈরি কেনো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী নতুন প্রজন্মকে আমরা বিশেষ বার্তা দিতে চাই। সেই আলোকেই লোগোর ডিজাইন করা হচ্ছে। অর্থাৎ নতুন লোগোতে বিশেষ থিম আছে।’ হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘কলম হচ্ছে- জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। দাঁড়িপাল্লা হচ্ছে ন্যায় বিচারের প্রতীক। যা ভূ-খণ্ড হবে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।’
জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের লোগো পরিবর্তন করা হচ্ছে। জামায়াতের আমিরের নির্দেশনায় বেশ কয়েকটি লোগো ডিজাইন করা হয়েছে। তবে, কোন লোগোটি ব্যবহার করা হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আজকের এই লোগো ভুলবশত ছবিতে চলে এসেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লোগো চূড়ান্ত করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘লোগো নিয়ে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদে আলোচনা হয়েছে। চূড়ান্ত হলে সেটি দলের অফিসিয়াল লোগো হিসেবে ব্যবহৃত হবে।’ কেনো লোগো পরিবর্তন করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ‘আমাদের আগের লোগো কখনো অফিসিয়ালি ব্যবহার করিনি। বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যবহার করত।’