টিসিবির রমজান প্রস্তুতিতে
হতাশ খুলনার মানুষ

এ এইচ হিমালয় ঃ আগে পবিত্র রমজান মাস আসার ১৫ দিন আগেই খুলনা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ২০টি ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করতো ট্র্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। একজন গ্রাহক ৫ লিটার সয়াবিন তেল, ৩ কেজি করে চিনি-ডালসহ সমপরিমাণ পণ্য কিনতে পারতেন।
এ বছর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির এই দুঃসময়ে পণ্য বিক্রি কমিয়ে দিয়েছে টিসিবি। কমেছে পণ্য বিক্রির স্থানও। গত ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ায় রমজানের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম নগরীর মাত্র ১০টি ট্রাক নামিয়েছে টিসিবি। তাতে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ২ লিটার করে তেল কিনতে পারছেন। আগে তেল ছিলো প্রতি লিটার ৮০ টাকা। সেই তেলই এখন ১০০ টাকা লিটারে কিনতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ২ লিটার তেল, এক কেজি ডাল দিয়ে গ্রাহকের কষ্ট কমছে না। এ অবস্থায় পণ্যের দাম কমিয়ে বিক্রির পরিমাণ ও ট্রাক সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন খুলনার মানুষ।
টিসিবি থেকে জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল থেকে রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে ১০টি ট্রাকে ৫টি পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রাকে ১ হাজার লিটার সয়াবিন তেল, ৫০০ কেজি করে চিনি, ছোলা ও মসুর ডাল এবং ৭০০ কেজি করে পেয়াজ দেওয়া হচ্ছে।
সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা, চিনি, ছোলা ও মসুর ডাল ৫৫ টাকা এবং পেঁয়াজ ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবে। খেজুরের দাম ধরা হয়েছে ৮০ টাকা। তবে খেজুর এখনও বিক্রি শুরু হয়নি।
রমজানে পণ্য বিক্রির স্পট কমিয়ে দেওয়ার সমালোচনা করেছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান। পূর্বাঞ্চলকে তিনি বলেন, বিগত কয়েকবছরের মধ্যে এবারই নিত্যপণ্যের দাম সবেচেয়ে বেশি। রমজান এগিয়ে আসায় প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে। রমজান মাস আসার আগে মানুষ টিসিবির দিকে তাকিয়ে থাকে। দাম বাড়িয়ে দিয়ে ২০টি ট্রাকের স্থানে প্রতিদিন ১০টি ট্রাকে পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত মানুষকে হতাশ করেছে। এতে নগরীর অনেক এলাকার মানুষ স্বল্পমূল্যের পণ্য থেকে বঞ্চিত হবে। দ্রুত পণ্য বিক্রির স্থান, পরিমাণ বাড়ানো এবং টিসিবির সব ধরনের পণ্যমূল্য কমানো উচিত।
এ ব্যাপারে টিসিবির খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান আনিসুর রহমান বলেন, পণ্যের দাম ও পরিমাণ ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখানে আমাদের কিছু করার থাকে না। আপাতত ১ এপ্রিল থেকে ১০টি ট্রাকে করে বিক্রি শুরু হয়েছে। ট্রাক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ঢাকায় চিঠি লেখা হবে।