শেখ মনিরুল ইসলাম (দিঘলিয়া)খুলনাঃ দিঘলিয়া উপজেলায় আউশ ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। চলতি মৌসুমে ৬৯৫ হেক্টর জমিতে উফশী আউশ স্থানীয় আউশ ধানের চাষ করেছেন কৃষকরা। যার উৎপাদন লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২১৪ মে.টন। চলতি মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হওয়ায় লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করছে কৃষি অধিদপ্তর।
দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়ায় এবার কৃষকরা অধিক হারে আমন ধানের পাশাপাশি আউশ ধান চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। চলতি মৌসুমে দিঘলিয়া উপজেলায় মোট ৬৯৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ করেছেন। এর মধ্যে রোপা আমন চাষ হচ্ছে ২০ হেক্টর জমিতে।
এ বছর দিঘলিয়া উপজেলায় যে সকল উন্নত আউশ ধানের চাষ করা হয়েছে তার মধ্যে ব্রি-৪৮, ব্রি-৯৮, ব্রি-১০৬ উল্লেখযোগ্য। আরো চাষ করা হয়েছে দেশি উফসী উন্নত জাতের বীজ রাতুল ও শ্রীবেলুন।
দিঘলিয়া উপজেলার আড়ংঘাটা গ্রামের কৃষক সোহেল মন্ডল জানান, আউশ ধানের বীজ আগে রোপন বা বপন করা হয়। ধানও আগে ঘরে ওঠে। চলতি মৌসুমে আউশ ধানের উৎপাদন ভাল হবে বলে আশা করি।
গাজীরহাটের কৃষক মোঃ শামীম মোল্যা ও সেনহাটীর কৃষক মোশারেফ শেখ এবং মোঃ আবুল কালাম শেখ বলেন, এ বছর দিঘলিয়ায় আউশ ধানের অবস্থা ভালো। এ বছর আমরা আউশ ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি।
দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ কিশোর আহমেদ পূর্বাঞ্চলকে জানান, দিঘলিয়ার ৫০০ জন আউশ চাষিদের প্রত্যেককে ৫ কেজি করে ধানের বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। উন্নত ও অধিক ফলনশীল জাতের বীজ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত মৌসুমে ৬৫০ হেক্টর জমিতে উফশী ও স্থানীয় আউশধানে লক্ষ মাত্রা ছিল যা চলতি মৌসুমে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৯৫ হেক্টর হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে আউশ আবাদে বাম্পার ফলন হবে।