ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, দিঘলিয়া, খুলনাঃ দিঘলিয়ার গাজীরহাটে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে চাঁদাবাজি মামলার আসামীকে ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা। এঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জসহ ৩জন আহত হয়েছে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দিঘলিয়া থানায় ২৯জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। এঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় একটি চাঁদাবাজি মামলার এজাহারভূক্ত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য মাঝিরগাতীতে অভিযান চালিয়ে কাঁচা বাজার এলাকা থেকে তৈয়ব মুন্সি (২৬) নামের এজাহারভূক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে। ঘটনার সাথে গাজীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহাগ মুন্সির নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে তৈয়ব মুন্সিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় মাঝিরগাতী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল- মাসুদ (৪৫)এস আই আহম্মদ আলী(৩৫) ও কনেস্টবল ইব্রাহিম (৩৫) আহত হয়। আহতদের দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে মাঝিরগাতী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল – মাসুদ বলেন, তৈয়ব মুন্সি একটি চাঁদাবাজী মামলার এজাহার নামীয় আসামী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় আমরা তাকে আটক করি। আটকের পরপরই গাজীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহাগ মুন্সি তার লোকজন নিয়ে মব সৃষ্টি করে। তারা লাঠিসোটা দিয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করে আটককৃত তৈয়ব মুন্সিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এতে আমিসহ তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
উল্লেখ্য গাজীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহাগ মুন্সি স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
এদিকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার পরপরই দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন এর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের পুলিশের একটি দল মাঝিরগাতী এলাকায় অভিযান চালায়।রাতভর অভিযানে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মোঃ ওসমান শেখের পুত্র জামিরুল ইসলাম (৩৪), সৈয়দ আঃ রাজ্জাকের পুত্র সৈয়দ আব্দুল করিম ও মৃত রতন শেখের পুত্র লিটন শিকদার(৩৫)কে আটক করে। এ ঘটনায় প্যানেল চেয়ারম্যান সোহাগ মুন্সিকে প্রধান আসামি করে দিঘলিয়া থানায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।