# এলাকায় উত্তেজনা, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, দিঘলিয়া (খুলনা) : দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাটের বামনডাংগা গ্রামে গত দু’দিন ধরে বিবদমান দু’গ্রুপের কয়েক দফা সংর্ঘষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। উত্তেজনা বিরাজ করায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মীর মাহমুদ আলীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় বামন ডাংগা বিলে গরুকে ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে বামনডাংগা গ্রামের লুৎফর মোল্যা এবং ইদ্রিস মোল্যার সংগে মুকতি মীর ও মিজান বিশ্বাসের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ঘটনাটি বংশীয় কাইজ্যায় রূপ নেয়। এ ঘটনায় সোহেল ও মাহমুদ আলী তাদেরকে ঠেকাতে গেলে তাদেও ওপর চড়াও হয়ে মারপিট শুরু করে। এসময় তাদের হাতে থাকা বল্লম দিয়ে সোহেলের নাভির নিচে ও দা দিয়ে পিঠে কোপ মারে। এছাড়াও লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। অন্যদিকে তার চাচাতো ভাই মাহমুদ আলীকে মাছ ধরার কোচ ছুড়ে মারলে একটি তার পিঠে গেঁথে যায়। ওই ঘটনার পর গতকাল রোববার মোল্যা বংশ ও মীর বংশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। উভয় বংশের শতশত বয়োবৃদ্ধ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। সংর্ঘষে কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে সাইফুল মীর (৩৫) মোস্তাক মীর (২০) শাকুর মীর ( ৩০) ফয়সাল মীর (৪৫) হাসমত মীর(৪২) নাইম মীর (২০) ও প্রতিপক্ষের নজরুল মোল্যা (৬০)আজম মোল্যা (২৮) তরিকুল মোল্যা (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অবস্থা আশঙ্খাজনক হওয়ায় মীর মাহমুদ আলীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছে। এঘটনায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আহসানউল্লাহ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এলাকা শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মাহবুবুল আলম, সহকারি কমিশনার (ভূুুমি) মো: আলীমুজ্জামান মিলন, সহকারি পুলিশ সুপার ক অঞ্চল রাজু আহমেদ, দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আহসানউল্লাহ চৌধুরী ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রিপন কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।