রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আরও এক শিশু মৃত্যুবরণ করেছে। ৭০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টা ৫ মিনিটে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মুসাব্বির মাকিন (১৩)। এর আগে সকালে মারা যায় আরও এক শিশু—চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তাসনিম আফরোজ আইমান (১০)।
এই ঘটনায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ জনে। আর সরকারি হিসাবে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৩ জনে।
মুসাব্বির মাকিন ছিল মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। বাবা মো. মহসিন একজন স্যানিটারি ব্যবসায়ী। গ্রামের বাড়ি গাজীপুর হলেও পরিবারটি রাজধানীতে বসবাস করত। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল ছোট। তার সহপাঠীরা জানায়, মুসাব্বির শান্ত স্বভাবের ও নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত এক মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল।
তাসনিম আফরোজ আইমান চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সে মা–বাবার সঙ্গে উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে থাকত। বাবা ইসমাইল হোসেন পেশায় একজন ব্যবসায়ী। পরিবারের একমাত্র কন্যা ছিল আইমান।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, “মুসাব্বিরের শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছিল। ইনহেলেশন ইনজুরিও ছিল। শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।”
গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর সোয়া একটার দিকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় আগুন ধরে যায় ভবনের বেশ কয়েকটি তলায়। স্কুল চলাকালীন সময় হওয়ায় শত শত শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ভেতরে ছিলেন।