কোনো এলাকায় দুই কিলোমিটারের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকলে সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা নির্মাণের সুপারিশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

ডিসেম্বরে কমিটির বৈঠকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সাড়ে ছয় কিলোমিটারের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম বৈঠকে বিষয়টি তুলেন। কমিটি তখন মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছিল। বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানায়, নাচোলের বাসুগ্রামে কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। এর সবচেয়ে কাছের স্কুল আছে সাড়ে ছয় কিলোমিটার দূরে। বাকি তিনটি স্কুলই সাত কিলোমিটার দূরে। বৈঠকে বাসুগ্রামকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ‘এক হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্পের’ আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে।

বৈঠকে ‘ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দন করণ’ প্রকল্পের আওতায় মোট ৩৫৬টি স্কুলের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১৬০টি দৃষ্টিনন্দনকরণের নকশা উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অফিস দৃষ্টিনন্দন করার সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, মেহের আফরোজ, আলী আজম মো. নজরুল ইসলাম বাবু, ফেরদৌসী ইসলাম ও কাজী মনিরুল ইসলাম অংশ নেন।

এদিকে, মসজিদ-মন্দিরে বিতরণের জন্য প্রত্যেক সংসদ সদস্যের (সংরক্ষিত আসনসহ) নির্বাচনী এলাকায় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করার সুপারিশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

করোনাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাইকে লাউড স্পিকার ব্যবহারের কারণে যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় তা লাঘবে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠক করে সমন্বয় করার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। কমিটির সভাপতি হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান উপস্থিত ছিলেন। কমিটির সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, শওকত হাচানুর রহমান (রিমন), মনোরঞ্জন শীল গোপাল, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, জিন্নাতুল বাকিয়া ও মোসা. তাহমিনা বেগম বৈঠকে অংশ নেন।