প্রতিরোধে করতে
উদ্যোগ জরুরি

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে পানিতে ডুবে ৩০টি শিশু মারা যায়। ন্যাশনাল এলায়েন্স ফর ড্রাউনিং প্রিভেনশন বা এনএডিপি আয়োজিত এক সভায় এ তথ্য দেয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকার আগারগাও-এর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে দেশের আটটি বিভাগীয় শহর এবং ৬৪টি জেলাব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সেইসাথে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর সঠিক তথ্য সংরক্ষণে রাখতে একটি এ্যাপ তৈরির বিষয়টিও সভায় আলোচিত হয়। যার মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে।
সভায় জানানো হয়, ছয় বছরের মধ্যে শিশুকে সাঁতার শেখাতে পারলে পানিতে নিমজ্জিত ৯০ ভাগ শিশুর মৃত্যু কমানো সম্ভব। এক গবেষণার উদ্বৃতি দিয়ে সভায় জানানো হয়, প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটার মধ্যেই ৮০ ভাগ শিশু পানিতে মিজ্জিত হয়। যার ৬০ ভাগই মারা যায়। এজন্য বাড়ির আশপাশের পুকুর-ডোবাগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত করা, বাড়ির প্রতিটি সদস্যকে সচেতন হওয়া, শিশুদের ডে কেয়ার সেন্টারে রাখা এবং ছয় বছরের মধ্যে প্রতিটি শিশুকে সাঁতার শেখানোর উদ্যোগ নিতে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসার প্রতিও জোর দেয়ার আহবান জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা: মো: আব্দুল জলিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং এনএডিপি’র আহবায়ক সদরুল হাসান মজুমদারের সঞ্চালনায় এসময় বক্তৃতা করেন, এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, এসো নিজে করি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সোনিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’র ডা: নুসরাত, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা: ইশাকুল কবির, মালালা ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মুশাররফ তানসীন, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল এন্ড ইনষ্টিটিউট’র পেডিয়াট্টিক নিউরো সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: শায়লা ইমাম কান্তা, এনএডিপি’র উপদেষ্টা মেজর জেনারেল আবুল কালাম মো: হুমায়ুন কবির ও সেলিনা আহমেদ এনা, রংপুর আরডিআর’র নির্বাহী পরিচালক তপন কুমার কর্মকার, আভাস বরিশালের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল, চট্টগ্রামের আরিফুর রহমান, খুলনার জেজেএস’র নির্বাহী পরিচালক এটিএম জাকির হোসেন, সিলেটের সিরাজ, ময়মনসিংহের মজিবর রহমান, রাজশাহীর আকবর হোসেন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, একটি শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু হলে তার পরিবারের সদস্যদের সারা জীবনই মানষিক যন্ত্রণায় ভুগতে হয়। যেটি অনেকটাই কষ্টকর। এ অবস্থায় পানিতে ডুবে মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার প্রবনতা কমাতে সুশীল সমাজ, জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে সংবাদকর্মীদের আরও সক্রিয় হতে হবে। এজন্য সকলের সমন্বয়ে দেশব্যাপী এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।