বাংলাদেশে পৌঁছেছে ভারতের উপহারের ২০ লাখ ডোজ করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের মুম্বাই থেকে টিকাবাহী একটি বিমান ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার কিছু আগে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ফ্লাইটটি। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিলো ভারত সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই টিকা গ্রহণ করবে। জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে এই ২০ লাখ টিকা যুক্ত করা হবে। এটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে টিকা দেওয়া শুরু হবে। বাংলাদেশ সরকারিভাবেও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনছে, যার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা ২৫ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।#ভ্যাকসিনমৈত্রী #প্রতিবেশীপ্রথমে ভারতে উৎপাদিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ২ মিলিয়ন ডোজ উপহার আমাদের অংশীদার এবং নিকটতম বন্স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশে নতুন করোনা ভাইরাসের টিকা আসার পর প্রথম দিনে ২০ থেকে ২৫ জনের ওপর তা প্রয়োগ করা হবে। আগামী ২৭ থেকে ২৮ জানুয়ারি টিকা প্রয়োগ শুরু হতে পারে। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মান্নান জানান, টিকা বিতরণের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই করে ফেলা হয়েছে।স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জানান, টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালকে নির্বাচন করা হয়েছে। সেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। প্রথমদিন টিকা দেওয়ার পরদিন ড্রাই রান বা টেস্ট হিসেবে এই টিকা দেওয়া হবে। তারপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী, এক সপ্তাহ অপেক্ষা করব।বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশকে কোভিড-১৯ টিকা উপহার দিচ্ছে ভারত। দেশগুলো হলো, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও মরিশাস।