দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: দৌলতপুরে শাপলা খাতুন (২৮) নামের এক নারীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার দুই মাস পার হলেও সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজের মামার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তার মা। উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খোদেজা বিউটি তার আপন ভাই-ভাবির বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে খোদেজা বিউটি উল্লেখ করেন, ‘দুই মাস আগে আমার আপন ভাই আকরাম আলী (৫২) ও ভাবি সালমা খাতুন (৪৬) আমার মেয়ে শাপলা খাতুনকে বাড়ি থেকে ফুঁসলিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু আমার মেয়েকে আর বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যায়নি। মেয়েকে খুঁজে দেওয়ার অনুরোধ করলে তারা আমাকে গালিগালাজ করে হুমকি দেয়। আমার মেয়ের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান আছে। তাদের অনুরোধ করলেও তারা শাপলার কোন খোঁজ দেয় না।
এরপর গত ২৬ জুলাই ৩টার দিকে ভাই আকরাম আলীর বাড়িতে গিয়ে আমার মেয়েকে খুঁজে দেওয়ার কথা বললে তারা আমাকে গালিগালাজ করে এবং এক পর্যায়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম করে। এসময় আমি চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে তারা খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে এলাকাবাসি আমাকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।’
খোদেজা বিউটি আরো বলেন, এর আগে আমার মেয়ে শাপলাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় সপ্তাহ ও মাস চুক্তিতে রেখে আসতেন। এ ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাপলা খাতুনকে খুঁজে বের করার অনুরোধ জানান খোদেজা বিউটি।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।