স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন সাত্তার বিশ^াস সড়কের একটি বাড়ি থেকে গতরাতে এক নারী চিকিৎসকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নারী চিকিৎসকের নাম মন্দিরা মজুমদার(২৭)। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক তাকে ধর্ষণ করেন এবং এতে তিনি গর্ভবতী হওয়ার পর বিয়ের চাপ দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে নিহতের পরিবারের দাবি। তবে কেএমপির সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মমতাজুল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে মামলা হলে তদন্ত করে সবকিছু দেখা হবে।
নিহত মন্দিরা মজুমদার উক্ত এলাকার প্রদীপ মজুমদারের মেয়ে । তিনি ২০২১ সালে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করে বর্তমানে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
নিহত মন্দিরা মজুমদারের বাবা প্রদীপ মজুমদার বলেন, গত বছর ৩০ এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার পিত্তথলির অপারেশন করা হয়। তখন খুমেক হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের সাথে তার মেয়ের পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে উক্ত চিকিৎসক তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে রাত্রী যাপন করেন। পরে তার মেয়ে জানতে পারে উক্ত চিকিৎসকের আগে বিয়ে রয়েছে। পরে তার মেয়ে তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেন ওই চিকিৎসক। মেয়েটি যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেন বলেও তিনি জানান।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মামতাজুল হক বলেন, নিজ বাসায় ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে মন্দিরা মজুমদার আত্মহত্যা করে বলে পুলিশ জানতে পারে। পরে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ লাশের ময়না তদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে। তবে এ ঘটনার সাথে যে চিকিৎসকই জড়িত থাকুক না কেন তার শাস্তি হোক এটিই তিনি চান।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী এড. মোমিনুল হক বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(ক) অথবা ৯(২) ধারায় মামলা হতে পারে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আইনী সহায়তা চাইলে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা সহায়তা দেবে বলেও তিনি জানান।