স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন পুকুর ও জলাশয় সংরক্ষণ করে সেখানে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কর্মকান্ড করার উদ্যোগ নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু কেসিসির সে পরিকল্পনাকে উপেক্ষা করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি রাতারাতি পুকুর-জলাশয়গুলো দখলে মরিয়া হয়ে উঠছে। এতে অবৈধ দখলে থাকা ২২টি খালের মতো ইতোমধ্যে চিহ্নিত হওয়া ১৪টি ওয়ার্ডের ৩২টি পুকুর-জলাধারও দখল হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে পুকুর দখলের এমন চিত্র।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির উল জব্বার বলেছেন, নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টিতে সর্বমোট ৩২টি পুকুর-জলাশয়কে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করে সেগুলোকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যে পুকুরগুলো সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ১৩টি, হাউজিং কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ছয়টি, পাবলিক লাইব্রেরি একটি, সরকারি কর্মচারী আবাসিক এলাকার দু’টি, পোষ্ট মাষ্টার জেনারেলের একটি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন তিনটি, কেডিএ’র আওতাধীন একটি, লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের একটি, খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের চার্চ কর্তৃপক্ষের তিনটি এবং খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার একটি। তবে এর বাইরে আরও কিছু পুকুর-জলাশয় রয়েছে। যেগুলো ব্যক্তি মালিকানার। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যক্তি মালিকানার কোন পুকুরও এখন আর ভরাট করা যাবে না। কিন্তু নগরীর অনেক পুকুর বালু দিয়ে ভরাট করতে দেখা গেছে। এমন একটি হচ্ছে কেসিসির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আ: মালেক ইসলামীয়া ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন একটি পুকুর। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায় এক পাশ দিয়ে বালু ভরাট করে সেখানে রীতিমতো টিনশেড তোলা হয়েছে। এ ব্যাপারে অবশ্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে খুলনার জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পুকুরটি ওই এলাকার একমাত্র পুকুর। যা’ শত বছরের পুরাতন। লবণচরা মৌজার সিএস, এসএ ও বিআরএসএও এটি পুকুর শ্রেণীভুক্ত। পুকুরটি ব্যক্তি মালিকানার হলেও বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার জলাধার হিসেবে এটি জনকল্যাণে ব্যবহৃত হয়। সম্প্রতি পুকুরটির কিছু অংশ ভরাট করে দোকান নির্মাণ কার্যক্রম চলছে। এতে পুকুরটি তার চিরাচরিত রূপ হারাতে বসেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।