নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াগাতী (কালিয়া): নড়াইলের নড়াগাতী’র কিশোরী মুন্নি খানম হত্যা মামলার মূল আসামী মোঃ সোহেল সরদার (২০)কে রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), যশোর। আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভিকটিমের গলার চেইনটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
পিবিআই সূত্র জানায়, দক্ষিণ নলামারা গ্রামের শিমুল মিনার মেয়ে মুন্নি খানমের (১৬) প্রায় ১৪ মাস আগে খুলনার তেরখাদা উপজেলার হৃদয় ফকিরের সঙ্গে বিয়ে হয়। ২৯ আগস্ট বিকেলে সে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। সেদিন রাতে শ্বশুরবাড়ি ফেরার কথা থাকলেও আর ফেরেনি। রাত ৯টার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বজনরা সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও ব্যর্থ হলে থানায় নিখোঁজ জিডি করেন।গত ২ সেপ্টেম্বর সকালে দক্ষিণ নলামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে একটি ডোবার পানিতে মুন্নির লাশ পাওয়া যায়। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পুলিশ সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পিবিআই যশোর আধুনিক প্রযুক্তি ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামী সোহেলকে শনাক্ত করে। ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ঢাকার তেঘরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি মেস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল স্বীকার করেছে, মুন্নির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২৯ আগস্ট রাতে তারা বিদ্যালয়ের পেছনে দেখা করে। একপর্যায়ে মনোমালিন্য হলে সোহেল মুন্নিকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে যায়। যাওয়ার সময় সে ভিকটিমের গলার চেইন নিয়ে যায়। পরে সেটি নকল মনে করে বাড়ির পেছনের বাঁশবাগানে ফেলে দেয়। পুলিশ পরে চেইনটি উদ্ধার করে।
ঘটনার পর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নড়াগাতী থানায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি (নং-০২, তারিখ ০৩/০৯/২০২৫) পরবর্তীতে তদন্তের দায়িত্ব নেয় পিবিআই যশোর। ৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারকৃত আসামী সোহেল সরদারকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।