নতুন কর্মসূচিতে কুয়েট শিক্ষকরা ক্লাস শুরুর দাবি শিক্ষার্থীদের

শিক্ষক লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে সাতদিনের আলটিমেটাম শেষে এবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-কুয়েট শিক্ষক সমিতি। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় কুয়েট ভিসি কার্যালয়ের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানিয়েছেন কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ সাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ ফারুক হেসেন। গতকাল রবিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সমিতির সাধারণ সভা শেষে তারা এমনটি জানান। পরে শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে মানব বন্ধনও করেন।
এদিকে, সকল অপরাধের বিচার অতিদ্রæত সম্পন্ন করে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর জন্য লিখিত আবেদন করেছেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা। গতকাল রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে শিক্ষার্থীরা ভিসির কাছে এ আবেদন জমা দেন।
এভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আন্দোলন পাল্টা আন্দোলনের মধ্যেই প্রায় তিন মাস ধরে কুয়েটে অচলাবস্থা চলছে। গত ১৮ ফেব্রæয়ারি সৃষ্ট ঘটনা থেকে এমন অচলাবস্থার সত্রপাত।
গতকাল রবিবার দুপুরে কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চার দফা সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ডিসিপ্লিনারী কমিটির কার্যক্রম ব্যাতীত সকল প্রকার প্রশাসনিক কাজে অসহযোগিতা করা, ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভা করে দ্রæত বিচার কাজ সম্পন্ন করা প্রভৃতি।
এর আগে শিক্ষকরা তাদের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে বৈঠক করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দোষীদের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করে রেখেছে। যার কারণে কুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম সংকটের মধ্যে পড়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রশাসন কোন সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত না নিলে উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
অপরদিকে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ডঃ এম এম এ হাসেম এর বিরুদ্ধে অনলাইনে বিভিন্ন মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও অনলাইন বুলিং এর প্রতিবাদে মানব বন্ধন করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, প্রকৌশলী কাশেম, তৈয়বুর রহমান, বাদশা মোহাম্মদ হারুন, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হায়াত, কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি ইমদাদ মোড়ল, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি রোকনউদ্দিন প্রমুখ।
এর আগে কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন দেওয়া হয় ভিসির কাছে। লিখিত আবেদনে গত ১৮ ফেব্রæয়ারি থেকে ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার প্রতি গভীর উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ, সকল অন্যায়ের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানানো হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘নতুন ভিসির অধীনে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি ছিল আমাদের অন্যতম প্রধান দাবি। যা সরকার মেনে নিয়েছিল এবং ভিসিকে অপসারণ করা হয়। তাহলে আগের তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া চালানো কি সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়’ ? তারা দ্রæত ক্লাস শুরুর দাবি জানান।