স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিজারের সময় অস্ত্রপচারের আঘাতে আহত নবজাতক কন্যা শিশু টানা পাঁচদিন আইসিইউতে থাকার পর গতকাল শনিবার মৃত্যুবরণ করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে তোলপাড় সৃষ্টি করে নিহত শিশুর স্বজনরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার দারোগাভিটা এলাকার গৃহবধূ লিমা আকতারকে গত মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
নিহত শিশুর দাদী মাকুল বেগম বলেন, সকাল দশটার দিকে সিজার করে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হলেও ওয়ার্ডের আয়ারা শিশুটিকে তার কোলে তুলে দিয়ে বলেন শিশুটি অসুস্থ্য আছে, দ্রুত তাকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। তিনি অসুস্থ্যতার কারন জানতে চাইলে তারা বলেন সামান্য একটু পেট কেটে গেছে। তাদের কথামত শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে মারা যায়। কিন্তুু শিশুটির লাশ বিকেল তিনটা পর্যন্ত গ্রহণ করেনি স্বজনেরা। তারা ওয়ার্ডের মধ্যে এ ঘটনার বিচারের দাবিতে ক্ষোভ জানাতে থাকে। হাসপাতালের আইন-শৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে হিমশিম খেয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
তবে স্বজনেরা বিকেল চারটার দিকে মৃত্যুর সঠিক তদন্তের জন্য পরিচালক ডাঃ রবিউল হাসান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু ঐ সময় পরিচালক না থাকায় তারা জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে ঐ অভিযোগ পত্রটি জমা দেন এবং শিশুটির লাশ গ্রহণ করে বাড়ি নিয়ে যান।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১০ এপ্রিল ভোররাতে একই হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে নগরীর দৌলতপুরের এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সাথে রোগীর স্বজনদের মারামারি হয়। এ ঘটনায় ডাক্তারদের পক্ষ থেকে মামলা হয় এবং আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ রোববার থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তিনঘন্টা করে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
অর্থাৎ একটি ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি রোগীমৃত্যুর ঘটনা ঘটলো।