নাইজেরিয়ার নিজার রাজ্যের একটি মাদ্রাসার বহু শিক্ষার্থীকে বন্দুকধারীরা অপহরণ করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রবিবার (৩০ মে) তেগিনা শহরের একটি মাদ্রাসা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির বরাতে জানা যায়, দেড়শ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন বলে মাদ্রাসাটির একজন শিক্ষক জানিয়েছেন, কিন্তু অন্যান্য প্রতিবেদনে তাদের সংখ্যা প্রায় ২০০ জন বলে দাবি করা হয়েছে। নাইজেরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ ক্রমাগত বেড়ে একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে উত্তরাঞ্চলীয় জামফারা রাজ্যের জানগেবে শহরের একটি বোর্ডিং স্কুল থেকে প্রায় ৩০০ ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল বন্দুকধারীরা। পরে অধিকাংশকেই মুক্তি দেয়।

Lime green desks sit in an empty classroom after the attack

তেগিনার ঘটনার বিষয়ে একজন প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্ধৃতি দিয়ে ‘দিস ডে’ নিউজ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, বন্দুকধারীরা মোটরসাইকেল যোগে এসে শহরে হামলা চালায় ও নির্বিচার গুলিবর্ষণ শুরু করে। লোকজন পালাতে শুরু করার পর তারা মাদ্রাসাটিতে গিয়ে হাজির হয় ও শিক্ষাথীদের তাদের জিম্মায় নেয়। মাদ্রাসাটিতে ছেলে-মেয়ে উভয়েরই শিক্ষার ব্যবস্থা আছে এবং এখানকার শিক্ষার্থীদের বয়স ছয় থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলার সময় দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন ও তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। তেগিনার ঘটনার একদিন আগে পার্শ্ববর্তী রাজ্য কাদুনার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপহরণ করা ১৪ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ফেব্রæয়ারিতে কাদুনার কাগারা শহরের ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে ২৭ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছিল। প্রতিবেশী দুই রাজ্যের দুই শহর কাগারা ও তেগিনার অবস্থান কাছাকাছি। ডিসেম্বর থেকে নাইজেরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ও মধ্যাঞ্চলের অন্তত ছয়টি ঘটনায় শিক্ষার্থীদের অপহরণ করা হয়। এসব ঘটনায় আটশরও বেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর চিবোকের একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে ২৭৬ জন ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম। কিন্তু সাম্প্রতিক হামলাগুলো অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর কাজ বলে মনে করা হয়।