# প্লান্টের কাজ চলছে স্বাভাবিক গতিতে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মহানগরীর খালিশপুরস্থ নির্মানাধীন ৩৩০ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত চীনা নাগরিকদের মধ্যে ৮৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হলেও দ্বিতীয় পরীক্ষায় সকলের ফলাফলই নেগেটিভ হয়েছে। অর্থাৎ এখন আর খুলনার ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোন করোনা আক্রান্ত রোগী নেই। খুলনার সিভিল সার্জনের দপ্তরের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, আতংক কেটে যাওয়ায় বর্তমানে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ পুরোদমে চলছে বলেও সেখানকার একটি সূত্র জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত দেড় মাসে ধাপে ধাপে প্রায় ৮৫ জন চীনা নাগরিক করোনায় আক্রন্ত হন। ফলে প্লান্টের নির্মাণ কাজে কিছুটা বিঘœ ঘটে। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত চীনা নাগরিকদের মধ্যে সকলেই সুস্থ্য হয়ে কাজে ফিরেছেন বলে সেখানকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্লান্টের সহকারী প্রকৌশলী কাজী মাসুদ জানান, নির্মাণাধীন ৩৩০ মেগাওয়াট ডুয়েল-ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল প্লান্টে মূল ঠিকাদার হচ্ছে চায়নার হারবিন ইলেকট্রিক ইন্টারন্যাশনাল কোং ও জিয়াংসু ইটার্ন কোং লিঃ। এদের সাব ঠিকাদার আরো একটি চয়না প্রতিষ্ঠান এন,ই,পি,সি। যা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড দ্বারা অনুমোদিত। এ তিনটি চয়ানা প্রতিষ্ঠানের ১৮৫ জন চায়না নাগরিক কাজ করছেন প্লান্টটিতে। গত মে মাসের প্রথম দিকে ৯ জন এবং ধাপে ধাপে আরো ৭৬ জন চায়না নাগরিকের করোনা পজেটিভ আসে। এদের তিন জনকে ঢাকায় ও অন্যদের নির্মানাধীন ওই প্লান্টের ভিতরে আইসোলেশনে রাখা হয়। মে মাস থেকে জুন মাসের প্রথম দিকে আক্রান্ত হন ৮৫ জন। এখন ধাপে ধাপে সুস্থ্য হয়ে উঠছেন চায়নারা। তারা ইতোমধ্যে স্থবির হয়ে যাওয়া পাøন্টের কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে চায়না নাগরিকরা আক্রান্ত হলেও এদের সাথে কাজ করা বাংলাদেশী শ্রমিকদের কারও করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে প্লান্টের সহকারী প্রকৌশলী কাজী মাসুদ জানান, চায়নারা খুবই সচেতন। যে ৮৫ জনের করোনা পজেটিভ হয়েছিল, তারা নিজেরাই ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে থেকে আরো ৭ দিন নিজেরাই কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। যার কারনে প্লান্টের কাজ সাময়িক স্থবির ছিল। চায়নারা প্রায় শতভাগ সুস্থ্য হয়ে কাজে ফিরেছে, প্লান্টের কাজে প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী বছর(২০২২) জুলাই-আগষ্ট মাসে এই প্লান্টটি জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে সুস্থ্য হয়ে ওঠা চায়না নাগরিকরা নিরাপদ ও সামাজিক, দুরত্ব বজায় রেখে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করা শুরু করেছেন বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী রবীন্দ্রনাথ সরকার জানান, প্লান্টটি সম্পূর্ণ আলাদা প্রজেক্ট, তাই তিনি কিছু বলতে পারবেন না। তবে চায়নাদের সুস্থ্য হওয়ার খবর তিনি শুনেছেন।