করমজলে যাচ্ছে প্রচুর
পর্যটক, রাজস্ব ফাঁকি

এইচ এম আলাউদ্দিন ও রফিউল ইসলাম টুটুল ঃ চট্টগ্রাম থেকে আসা আট জনের একটি টিম শনিবার ঘুরতে আসে সুন্দরবনে। মোংলা থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় জালি বোট ঠিক করে যান করমজল। আট জনের কাছ থেকে বন বিভাগের কর্মীরা নেন মোট এক হাজার টাকা। যার মধ্যে ভ্রমণ ফি’ বাবদ নেয়া হয় চারশ’ টাকা আর একজন গার্ড বাবদ নেয়া হয় ছয়শ’ টাকা। মুলত: জনপ্রতি ৪৬ টাকা আর একজন গার্ডের জন্য অফিসিয়ালী নেয়া হয় ৫৭৫ টাকা। খুচরা টাকা ফেরত দেয়ার নজির চোখে পড়ে কম। বর্তমানে সুন্দরবনে পর্যটক নিষিদ্ধের সময় এমন চিত্র দেখা মিলবে অহরহ। আর নিষিদ্ধ সময় বলেই টাকা নেয়া হলেও রশিদ দেয়া হয় না অনেককে। যদিও এ প্রতিবেদকের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে নিয়ে রশিদ দেয়া হয় ৪৬ টাকার। অনেক অনুরোধ আর ওয়াচ টাওয়ার পরর্যন্ত না যাওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে গার্ড নেয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। নিষিদ্ধ সময়ে সুন্দরবন ভ্রমনের বাস্তব চিত্র দেখতে গিয়ে এভাবেই মিললো সত্যতা। এক বেলার সুন্দরবন ভ্রমনে এটিই প্রতিয়মান হয়েছে যে, কথিত প্রজনন মৌসুমের নামে চলছে বনবিভাগের হরিলুট।
অবশ্য বন বিভাগের কর্তা ব্যক্তিরাও বিষয়টিকে খুব বেশি একটা গুরুত্ব না দিয়ে বললেন, অনেক দূর থেকে না জেনে যখন ট্রলার নিয়ে সুন্দরবন পর্যন্ত কেউ যায় তখন তাদের ফিরিয়ে দেয় কিভাবে ? এজন্যই হয়তো দু’একজন যেতে পারেন সুন্দরবন দেখতে। তবে টাকা নিয়ে রশিদ না দেয়ার বিষয়টিকে কোনভাবেই সমর্থন করা হবে না উল্লেখ করে খুলনার আঞ্চলিক বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দিনটি ছিল গত শনিবার। তখন সকাল সাড়ে ১০টা। মোংলা ফেরিঘাটে সারিবদ্ধ জালিবোটগুলোর মাঝিদের কেউ কেউ মোংলা বাস টার্মিনালে গিয়েই আগন্তুকদের আকৃষ্ট করছেন সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য। তাদের আচরণে মনেই হয়না এখন সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ। একটু এগিয়ে ঘাটে গিয়ে দেখা মিললো চট্টগ্রাম থেকে আসা আট সদস্যদের একটি টিমের। এক ট্রলার মাঝির সাথে তাদের দর কষাকষি চলছে। খুলনা থেকে যাওয়া দু’জন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে করমজল যেতে চাইলে তারা রাজী হয়ে বললেন, ‘তাহলে আমরা সকলে এক বোটে যাই’। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো বোট মাঝির মন্তব্যে। তিনি বললেন, এক টিমের সাথে অন্য টিমের সুন্দরবন যাওয়া নিষেধ। কারণ যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে সে দায়ভার কে নেবে ? সুতরাং আপনারা দু’জন বরং অন্য বোটে যান। নিয়মটা বেশ কড়াকড়িই অন্তত: ওই ক্ষেত্রে। এরপর বাধ্য হয়ে অন্য বোট ভাড়া করতে হলো দেড় হাজার টাকায়। ঘাটেই দেখা মিললো আরও কয়েকটি টিমের সদস্যরা করমজল ঘুরে এসে নামছেন। এর মধ্যে ১০ জনের একটি দল আসে চুয়াডাঙ্গা থেকে। ওই দলের সদস্যরা জানালেন দু’হাজার টাকায় বোট ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছিলেন সুন্দরবনে। ঘুরে এসে ফিরে যাচ্ছেন নিজ এলাকায়। করমজল গিয়ে তাদেরকেও ৫৭৫ টাকায় একজন অস্ত্রধারী সিকিউরিটি গার্ড নিতে হয়েছে। আর প্রতিজন ৪৬ টাকা করে দিতে হয়েছে বন বিভাগের কর্মচারীদের। কিন্তু কোন রশিদ দেয়া হয়নি তাদেরও। সেই সাথে ফেরত দেয়া হয়নি খুচরা টাকাও। অর্থাৎ ৫৭৫ টাকার গার্ডের বিপরীতে ছয়শ’ টাকা আর ৪৬ টাকার ভ্রমণ ফি’র বিপরীতে ৫০ টাকা নেয়া হয়।
জালি বোটযোগে করমজলে গিয়ে নামার সাথে সাথেই দেখা মিললো এম, এল, সোয়াচ-২ নামের বন বিভাগের একটি লঞ্চ ঘাটে ভিড়ানো। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ওই লঞ্চ থেকে নামছেন গেঞ্জি পরিহিত বেশকিছু নারী-পুরুষ এমনকি শিশুও। একই ধরনের গেঞ্জিতে লেখা রয়েছে শিক্ষা সফর ২০২২। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা হাজী কাশেম আলী কলেজের পক্ষ থেকে তারা এসেছেন ৪০ জনের একটি টিমে। কথা হলে টিমের কয়েকজন সদস্য জানান, তারা এসেছেন পারিবারিক সফরে। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া ওই সফরের চতুর্থ দিন ছিল শনিবার। বন বিভাগের উর্দ্ধতন এক কর্মকর্তার মাধ্যমে পেয়েছেন ওই লঞ্চ। থাকছেন খুলনার ফুলবাড়িগেটের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটে। এর আগে তারা পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়া, কুয়াকাটা ও খানজাহান (রহ:) এর স্মৃতি বিজড়িত বাগেরহাট ঘুরে ওইদিন যান করমজল। করমজল সফরকালে বৃষ্টি হচ্ছিল। বন বিভাগের সাথে চুক্তি অনুযায়ী তারা যাবেন হারবারিয়া পর্যন্ত। একজন বলেই ফেললেন, এখনতো সুন্দরবনে প্রবেশ নিষেধ, কিন্তু বন বিভাগের সাথে তাদের যোগাযোগ ভালো থাকায় অল্প খরচে লঞ্চ পেয়েছেন এবং বনে ঘোরার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু কত টাকার চুক্তিতে তারা সেখানে গেলেন সেটি জানাতে পারেননি তিনি।
ওই সফরে অংশ নেয়া হাজী কাশেম আলী কলেজের একজন শিক্ষকের মেয়ে বললেন, পারিবারিকভাবে তারা শিক্ষা সফরে এসেছেন। পাশেই খুলনার একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বললেন তিনি সরকারি একটি দপ্তরের কয়েকজন অফিসারের সাথে এসেছেন ঢাকা থেকে। করমজলের টিকিট কাউন্টারেও পরিচয় দেয়া হচ্ছিল তেমনটি। সরকারি দপ্তরের সদস্য বলেই তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা কম নেয়া হলেও দেয়া হয়নি কোন রশিদ। এভাবে মিনিট দশেক দাঁড়িয়ে থেকে শোনা গেলো বন বিভাগের একজন অন্যজনকে বলছেন, ‘দিয়ে দেন, ২/১জন করে যারা এসেছেন তাদের সবাইকে রশিদ দেন’। কিন্তু বড় বড় টিমে যারা এসেছেন বিশেষ করে ১০ থেকে ৪০ জনের সদস্যদের কোন রশিদ দেয়া হয়নি। যদিও সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন গতরাতে বলেন, শনিবার ১১টি টিকিট কাটা হয়েছে। কিন্তু ওই ১১টি টিকিটে কতজনের কাছ থেকে কত টাকা নেয়া হয় সেটি তিনি জানাতে পারেননি। তবে শনিবার করমজল অবস্থানকালেই দেখা যায় ২০/২৫টি বোট রয়েছে। সেখানের একজন ব্যবসায়ী জানালেন এখন প্রতিদিন প্রায় দু’শ করে পর্যটক আসছেন করমজলে।
করমজলের হরিণ ও কুমির প্রজনন লালন-পালন ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের সামনে কথা হয় জনতা ব্যাংকের লোয়ার যশোর রোড শাখায় কর্মরত এক কর্মকর্তার সাথে। তিনি বললেন, তারা চারজন গিয়েছেন করমজলে। টাকা দিয়েছেন ৫০ টাকা করে, কিন্তু কোন রশিদ দেয়া হয়নি। এভাবে আরও যারা সেখানে যান তাদের মধ্যে মাত্র ছয়জনকে রশিদ দিতে দেখা গেলেও ঘাটে ওই সময় থাকা ২০/২৫টি ট্রলার বা জালি বোটে যাওয়া অধিকাংশ মানুষকেই কোন রশিদ দেয়া হয়নি। নিষিদ্ধ সময়ে সুন্দরবনে ঘুরতে পারার কারণে সেখানে আগন্তুকরাও কোন প্রতিবাদ করছেন না। কেউ কেউ আবার বলছেন, এটাইতো বন বিভাগের ব্যবসা। যখন নিষিদ্ধ সময় থাকছে না তখনও এভাবে সিংহভাগ পর্যটককে রশিদ না দিয়ে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেন বন বিভাগের এক শ্রেণির কর্মী। যেটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জানা থাকলেও পদক্ষেপ নেয়া হয়না। এর ফলে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লুটে নেন এক শ্রেণির বনরক্ষী। আর এখনতো নিষিদ্ধ সময়। সুতরাং এই সময়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করার রয়েছে বিরাট সুযোগ।
নিষিদ্ধ সময়ে সুন্দরবন ভ্রমনের এমন চিত্র ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে কথা হয়েছিল খুলনার আঞ্চলিক বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো’র সাথে। তিনি রশিদ দিয়ে টাকা নেয়ার ব্যাপারে বলেন, সুন্দরবনে জুন, জুলাই ও আগষ্ট এই তিনমাস যে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ সেটি অনেকেই জানেন না। আর না জেনেই যখন অনেক দূর থেকে পর্যটকরা আসেন তখন তাদেরকে আর ফিরিয়ে দেয়া হয়না। কিন্তু টাকা না নিয়েও রশিদ দেয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই অন্যায়। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর বন বিভাগের লঞ্চে ভ্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় গবেষণার কাজে কেউ আসলে তাদেরকে সুযোগ দেয়া হয়।
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখার ২০২০ সালের ২৮ জুলাইয়ের ০৪.০০.০০০০.৫১২.১৬.০০২.১৮.৩২৫ নম্বর স্মারকযুক্ত এক আদেশে বলা হয়, বন বিভাগের গবেষণা ও তথ্য উপাত্ত অনুসারে জুন, জুলাই ও আগস্ট এ তিনমাস সুন্দরবনে বিচরণশীল পশুপাখি ও ও গাছগাছালির প্রজনন মওসুম। বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ ও বংশবিস্তারের স্বার্থে সীমিত এ সময়টাতে পর্যটন, জনপ্রবেশ ও বননির্ভর পেশাজীবীদের প্রবেশ ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্থগিত রাখা সম্ভব হলে ধীরে ধীরে সুন্দরবন তার পূর্ব রূপ ফিরে পেতে পারে। সে কারণে জলবায়ূ পরিবর্তনসহ বৈশ্বিক বিপর্যয় সংক্রান্ত নানামুখী প্রতিকূলতা রোধ করে উপকূলীয় অঞ্চলে ডেল্টা প্লান ২১০০ এর সফল বাস্তবায়নের আওতায় বিশ্বের ম্যানগ্রোভ বনভূমির ইকোসিস্টেম পুনরুজ্জীবিতকরণ এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজিএস)-এর ১৩ ও ১৪ নম্বর লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যক্ষভাবে অর্জনের লক্ষ্যে জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে সর্বপ্রকার পর্যটন ও বননির্ভর পেশা স্থগিত রাখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে পর্যালোচনাপূর্বক সংশ্লিষ্ট এলাকাটির উপর জীবন জীবিকার তাগিদে নির্ভরশীল বাওয়ালী, মৌয়ালী ও মৎস্যজীবী প্রমুখ বনজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থান অথবা নির্ধারিত সময়গুলিতে বিশেষ খাদ্য সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের নিমিত্ত পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে সদয় নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের এমন নির্দেশনার ব্যাপারে একটি সূত্র বলছে, মূলত: এই তিনমাস হচ্ছে বন বিভাগের নিজস্ব অর্থ উপার্জনের মৌসুম। যেহেতু নদীতে এই তিনমাস পানি বৃদ্ধি পায় যা বন পর্যন্ত উঠে যায় সেহেতু গভীর জঙ্গলের গাছ কেটে একজনেই অনায়াসে তা’ নিরাপদে সরিয়ে নিতে পারেন। যে কারণে কৌশল করে এটিকে প্রজনন মৌসুম আখ্যা দিয়ে বন বিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা সরকারকে ভুল বুঝিয়ে নিজেদের লুটপাটের পথ পরিষ্কার করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পর্যটক ও জেলো-বাওয়ালী, মৌয়াল প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলে অসাধু ব্যক্তিদের চুরিরও সুযোগ সৃষ্টি হয় বলেও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ট্যুর ব্যবসায়ী।
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব সুন্দরবন-টোয়াস এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিড বলেন, বন বিভাগের পর্যটক নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তটি অনেকটা ‘বজ্র আঁটুনির ফসকা গেরো’র অবস্থায় পরিণত পরিণত হয়েছে। তিনমাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকলেও করমজলে অহরহ যাচ্ছে মানুষ। আবার তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও রশিদ দেয়া হচ্ছে না। এটি চরম দুর্নীতির পর্যায় বলেও তিনি মনে করেন। নিষিদ্ধ সময়ে পর্যটক প্রবেশ করলেও ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে অন্তত: করমজলসহ সুন্দরবনের পাশর্^বর্তী কিছু এলাকার ক্ষেত্রে ওই সিদ্ধান্ত শিথিল করার দাবি জানিয়ে তারা সম্প্রতি বন বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন। কিন্তু বন বিভাগ থেকে তাদেরকে কিছু জানানো হয়নি। পর্যটক প্রবেশ ছাড়াও এক শ্রেণির অসাধু জেলে বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে বিষ দিয়ে মাছ ধরে বনের পরিবেশ নষ্ট করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত মূলত: বন বিভাগের কিছু লোকের লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। বরং বনের যা ক্ষতি তা’ হয়েই যাচ্ছে।
সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ সময়েও এমন অবাধ যাতায়াত এবং অর্থ নিয়ে রশিদ না নেয় সম্পর্কে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, যদি কারও কাছ থেকে টাকা নেয়া হয় তাদেরকে অবশ্যই রশিদ দিতে হবে। কিন্তু নিষিদ্ধ সময়েও কেন প্রবেশের সুযোগ দেয়া হবে এমনটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সময় অনুরোধ আসলে সেগুলো না রেখে পারা যায়না।