পটুয়াখালীর গলাচিপায় অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চর চন্দ্রাইল স্কুল বাজারে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গভীর রাতে হঠাৎ দোকান থেকে ধোঁয়া ও আগুন বের হতে দেখে মসজিদের তাবলীগ জামায়াতের সদস্য মো. সোহেল চিৎকার করতে থাকেন। পরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করা হয়।স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালালেও মুহূর্তেই আগুন পাঁচটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে দোকানগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায় এবং তিনটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার বাহার চৌকিদার বলেন, ‘আগুনে আমাদের সব মালামাল পুড়ে গেছে।আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেল। দোকানের আয় দিয়ে আমাদের সংসার চলত। আগুনে ৫০ লাখ টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে। আমরা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে সাহায্য চাই।’
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান বলেন, ‘দোকানঘরসহ সব মালামাল পুড়ে গেছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা উপজেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেব।’
গলাচিপা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন সাব অফিসার মো. কামাল হোসেন জানান, রাত ৩টার দিকে ৯৯৯-এ খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন। তবে পথে খবর পান স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।কিন্তু এরইমধ্যে দোকানগুলো ভস্মীভূত হয়। আগুনের সূত্রপাত প্রাথমিকভাবে জানা না গেলেও স্থানীয়দের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।’