রাষ্ট্রের অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার আগে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

পিপলস লিজিংয়ে অবসায়ন সংক্রান্ত মামলার শুনানিকালে মঙ্গলবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

দুদক প্রসঙ্গে আদালত বলেন, পিকে হালদারের বিষয়ে আমরা আদেশ দিলাম সেই কবে। আর জানুয়ারিতে এসে দুদক বলল, পিকে হালদার পালিয়ে গেছে। আদালত বলেন, পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা মোটা অংকের টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। অথচ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বা দুদক কিছুই করতে পারল না।

পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের করা এক আবেদনে পিপলস লিজিংয়ের প্রায় ৫শ জনের বেশি ঋণগ্রহীতার একটি তালিকা দাখিল করা হয়। এই তালিকা দাখিলের পর ৫ লাখ টাকা এবং তার ওপরে নেওয়া ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে যারা খেলাপি হয়েছে এমন ২৮০ জনকে তাদের ২১ জানুয়ারি এক আদেশে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।

এদের মধ্যে ১৪৩ জনকে মঙ্গলবার হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এদের মধ্যে মঙ্গলবার ৪৯ জন হাজির হন। আর অন্যরা আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চেয়ে আবেদন করেন। ১৪৩ জনের মধ্যে বাকি যারা হাজির হননি তাদের দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।

২৮০ জনের মধ্যে বাকি ১৩৭ জনের হাজির হওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য রয়েছে। আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম, ঋণগ্রহীতাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট গাজী মোস্তাক আহমেদ, পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক আসাদুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান।