একটা সময় ছিল যখন টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ দলে কেবল একজন পেস বোলার খেলতো। বাকি সবাই স্পিনার। সময় পাল্টেছে এখন। বর্তমানে কন্ডিশন বিবেচনায় দুই অথবা তিন জন পেসার নিয়মিত খেলে থাকে। সাইড বেঞ্চে বসে থাকে আরও কয়েকজন। তারাও সুযোগ পেলে নিজেদের মেলে ধরছেন, জাত চেনাচ্ছেন।

বিশেষ করে গত পাঁচ মাসে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশি পেস বোলারদের উত্থান চোখে পড়ার মতো। জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদেরকে হারানোর নায়ক এবাদত হোসেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে খেলার সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চিনিয়েছেন খালেদ আহমেদ। দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা পেসারও তিনি।

শীষ্যদের এমন পারফরম্যান্সে মুগ্ধ বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। প্রোটিয়া এই কিংবদন্তী দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। সেবার শীষ্যদের কাছ থেকে পরখ করেছেন। এবার ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ। সেটিকে সামনে রেখে টাইগার পেসারদের আরও ধারালো করে গড়ে তুলছেন ডোনাল্ড। বিশেষ করে পুরনো বলে কীভাবে আরও দক্ষ হওয়া যায়, সেটা নিয়ে বেশি কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার (১২ মে) চট্টগ্রামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন পেস বোলিং কোচ।

অ্যালান ডোনাল্ড বলেন, ‘এখানে (বাংলাদেশ) সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পুরনো বলে বোলিং করা। আজ ট্রেনিং সেশনের সবটা সময় জুড়েই ছিল পুরনো বল। বল রিভার্স করার উপর, পুরনো বলের সঙ্গে ধৈর্যশীল এবং সৃজনশীল হওয়া, আমি এসবে অনেক জোর দিয়েছি।’ পাশাপাশি নতুন বল নিয়েও কাজ করেছেন তিনি। বিশেষ করে শুরুর দিকে কীভাবে প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নেওয়া যায়।

টাইগারদের পেস বোলিং কোচ বলেন, ‘এই সপ্তাহে বুঝতে পেরেছি যে নতুন বলের সঙ্গে আরও বেশি কার্যকর হতে হবে। প্রথম ৩০ ওভারে আমাদের সেরাটা দিতে হবে। এই সময়ে শ্রীলঙ্কার ৪০ রানে ৩ উইকেট, এমন স্কোর রাখতে হবে। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে বল-কন্ডিশনিং। এখানে বল খুব ঘামে এবং আর্দ্র, সাধারণ উপ-মহাদেশীয় কন্ডিশন।’