লক্ষ্মীপুরে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তর সম্বলিত ভুয়া প্রশ্নপত্রসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে রামগঞ্জ পৌরসভা ও সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এদিন দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।গ্রেফতাররা হলেন-রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে মাহমুদুল হোসাইন (৩০) ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৬), একই এলাকার গোলাম সারওয়ারের স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩১), আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৬), ভাদুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুর গ্রামের আকিব হাসানের স্ত্রী মোরশেদা জান্নাত রিবু (২৬), পৌর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টামটা গ্রামের আবুল বাসারের মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (২৯), একই এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী তানিয়া বাশার (২৬), ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী তাছনিম আক্তার (৩০), নয়নপুর আবুল হাসেমের ছেলে মঞ্জুর হোসেন (৩১), পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাপুর গ্রামের মো. মমিন হোসেনের ছেলে রহমত উল্যা (২৮), ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দনপুর গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে পারভেজ হোসেন (২৬), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দরবেশপুর গ্রামের হারুনির রশিদের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩০) ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উভূতি গ্রামের আবদুল বারিকের ছেলে মো. জামাল উদ্দিন সবুজ (৩০)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দনপুর গ্রামের মাহমুদুল হোসাইনের ভাড়া বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাহমুদুল ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের বাসা থেকে সাত সেট ভুয়া প্রশ্নপত্রের প্রিন্ট কপি, ১২ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র (অনলাইন প্রিন্ট কপি), বিভিন্ন ব্যাংকের পাঁচটি সাদা চেকের পাতা, ছয় সেট শিক্ষা সনদের মূল কপি ও আটটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সে সময় বাসা থেকে আরও ছয়জন নারীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সদর উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়।

জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রশ্নপত্র দেওয়ার নামে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা ও সনদপত্র হাতিয়ে নেয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।