/ ফকিরহাটে জলাবদ্ধতা নিরসনে জাল-পাটা উচ্ছেদ অভিযান

ফকিরহাটে জলাবদ্ধতা নিরসনে জাল-পাটা উচ্ছেদ অভিযান

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফকিরহাট(বাগেরহাট): ফকিরহাট উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী অবৈধ নেট-পাটা ও নিষিদ্ধ জাল অপসারণে বিশেষ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।


উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সরকারি জটার খালে অবৈধ জাল ও নেট-পাটা অপসারনের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রাপ্ত অবৈধ জাল, নেটপাটা, উচ্ছেদ করে তা কেটে নষ্ট করা হয়। উক্ত অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আছাদুল্লাহ। এসময় ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়াজেদ আলী, মৎস্য অফিসের সার্ভিস প্রোপাইডার জিল্লুর রহমানসহ পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।


অভিযান শেষে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আছাদুল্লাহ বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনে অবৈধ জাল ও নেট-পাটা অপসারণ অত্যন্ত জরুরী। এগুলো শুধু পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না, বরং মাছের প্রজনন ব্যাহত করে। পাশাপাশি পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তিনি আরো বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। অবৈধ মৎস্য আহরণ ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধ নেট-পাটা-বাধ রোধে সবাইকে আরও সচেতন ও সহযোগিতাশীল হওয়ার আহ্বান জানা এ কর্মকর্তা।


এদিকে, স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা গেছে, লখপুর ১০গেটের উপরী অংশে অথাৎ যুগীখালী নদীর উপরে চামরিয়া, বল্লবপুর, বৈলতলী, গাবখালী, লালচন্দ্রপুর ও সাতবাড়িয়া এলাকার মধ্যে প্রায় ৩০-৫০ফুট অন্তর অন্তর জাল-পাটা ও নেট দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। মাছ ধারার ফলে প্রবল বর্ষনে জমে থাকা বৃষ্টির পানি সহজে নিচেই নামতে পারছে না। আর না পারার কারনে খাল-বিল ও বাড়ির আঙ্গিনা তলিয়ে যাচ্ছে। অতিদ্রæত যুগীখালী নদীতে দেওয়া অবৈধ নেট পাটা ও জাল অপসারণের জোর দাবী করেছেন এলাকাবাসি।