ফরিদপুরে মাছ ধরার সময় শৌখিন খান (৩৮) নামের এক মৎস্যজীবী জব্বার মোল্যা (৩৭) নামের অপর মৎস্যজীবীর বৈঠার আঘাতে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর ২টা পর্যন্ত নদীতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ শৌখিনের সন্ধ্যান পায়নি বলে জানা গেছে।
এর আগে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফরিদপুর জেলার মধুখালী ও বোয়ালমারী উপজেলা এবং মাগুরা জেলার মহম্মদপুর সীমান্তে মধুমতি নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ শৌখিন খান মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা চরপাড়া গ্রামের ছাত্তার খানের ছেলে।
সকাল থেকেই নিখোঁজের স্বজনদের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া ঘাটে আহাজারি করতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো দুই মৎস্যজীবী শোখিন খান ও হুমায়ূন শেখ নৌকায় চায়না জাল নিয়ে বুধবার রাত ১০টার দিকে মাছ ধরতে যান। একই সময় পাশেই মাছ ধরছিলেন ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের ছলেমান মোল্লার ছেলে জব্বার মোল্লা (৩৮), রবিউল মোল্লা (৩০) ও একই গ্রামের নৌকা চালক ছলেমানের ছেলে সানি শেখ। রাত পৌনে ৩টার দিকে বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী চণ্ডিবিলা মাঝিপাড়া ঘাট এলাকা দিয়ে নৌকা নিয়ে ফিরছিলেন শোখিন ও হুমায়ূন।এ সময় অপর মৎস্যজীবী জব্বার মোল্লা (৩৮) ও রবিউল মোল্লা (৩০) তাদের জালের ওপর দিয়ে নৌকা চালানোর অভিযোগ আনে। এ নিয়ে পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে জব্বার মোল্লা শৌখিনের মাথায় বৈঠা দিয়ে আঘাত করলে নদীতে পড়ে পানিতে তলিয়ে যান।
খবর পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করতে পারেনি।
উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি গনি আমিন জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রথমপর্যায়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজের সন্ধান পাওয়া যায়নি।অক্সিজেন শেষ হয়ে যাওয়ায় মাঝখানে অভিযান স্থগিত করা হয়। পরে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। এখনো ওই ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন।