সুন্দরবনে অপরাধ দমন

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সুন্দরবনে চোরাশিকার বন্ধ, বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ, দস্যুতারোধ ও অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ শিকার বন্ধে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বনবিভাগ। এতে অপরাধ প্রবনতা কমবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা। বনবিভাগের কমিউনিটি পেট্রল গ্রুপ (সিপিজি) এ কাজ বাস্তবায়ন করবে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে-পশ্চিম সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অপরাধ প্রবনতা কমাতে বিভিন্ন সময়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র‌্যাব-পুলিশের সহায়তায় দস্যুতা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও হরিন ও বাঘসহ বণ্যপ্রাণী শিকারের মত কর্মকান্ডের সাথে স্থানীয় মানুষ সম্পৃক্ত হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সুন্দরবন। এছাড়াও সুন্দরবনের ৫২ শতাংশ এলাকা অভয়ারন্য ঘোষনা করায় মৎসজীবীরা ওইসব এলাকায় গোপনে মাছ ধরে থাকে। এতে মাছের প্রজননে সমস্যা হয়। এছাড়াও চোরাকারবারিরা কর্তন নিষিদ্ধ সুন্দরী, পশুরসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ কেটে থাকে। এসব সমস্যা মোকাবেলায় মানুষের সচেতনতার বিকল্প নেই। যার কারণে বনবিভাগ জেলে বাওয়ালীদের সচেতন করতে তাদের নিয়ে উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভার মত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
সূত্রটি জানিয়েছে-সুন্দরবনের চারটি রেঞ্জে ৪টি সিপিজির আওতায় ১৯৪ জন সদস্য রয়েছে। এরা জেলে বাওয়ালী ও স্থানীয় মানুষদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবে। সহকারি বনসংরক্ষক (সদর) এ কাজ মনিটরিং করবে। দাকোপের কৈলাশগঞ্জ থেকে কৈখালী পর্যন্ত উপকূলের সকল জেলেদের নিয়ে উঠান বৈঠক করবে। এছাড়াও নৌকায় বিএলসি নং লেখার বিষয়ে জানানো হবে।
সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড.আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন-এ কার্যক্রমের রেজাল্ট পাওয়া যাচ্ছে ইতোমধ্যে। সুন্দরবনে এখন বিষ প্রয়োগে মাছ শিকারের পরিমান শুণ্যের কোটায়। শুধু আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়নি। মানুষদের সচেতন করা হচ্ছে। মানুষ যদি মনে করে যে এ বন তাদের সম্পদ তাহলে তারা তা ক্ষতি করতে চাইবে না। স্মার্ট প্রেট্রলের সদস্য, ফরেস্ট গার্ড ও বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের নিয়ে টিম করা হয়েছে। তারা এলাকায় গিয়ে মানুষকে বোঝাচ্ছে। সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় এ কাজ বাস্তবায়নের জন্য সিপিজি সদস্যদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। সকল পর্যায়ের মানুষের সম্পৃক্ততা ছাড়া এত বড় সুন্দরবন পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। যার আলোকে বনবিভাগ এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।