সিলেটে পানি কমছে, মধ্যাঞ্চলে বাড়ছে

॥ঢাকা ব্যুরো থেকে॥
টানা বৃষ্টি কমে আসায় সিলেট অঞ্চলে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করলেও দেশের মধ্যাঞ্চলের নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আভাস মিলছে। বন্যায় সিলেট, ময়মনসিংহ এবং রংপুর বিভাগে ১৭ মে থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মোট ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে প্ল¬াবিত এলাকার পরিধি, বাড়ছে দুর্গত মানুষের সংখ্যা। এদিকে, পানি কমতে শুরু করলেও বাড়ছে ব্যাপক খাদ্য সংকট। সিলেটের রিমোর্ট এলাকায় এখনো ত্রান পৌছায়নি বলে জানা গেছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, দেশের অধিকাংশ প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক দিনে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনও তা বিপৎসীমার উপরেই রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, দেশের ভেতরে এবং উজানের বিভিন্ন অংশে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা কম থাকায় আগামী এক দিনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে। তবে কিশোরগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে।
উত্তরাঞ্চলে তিস্তা নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি আগামী এক দিন স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা থাকলেও বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার বন্যা পরিস্থিতি সামান্য অবনতি হতে পারে বলে পূর্বাভাস এসেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পানি ভাটির দিকে নামতে থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় শরীয়তপুর, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার নিুাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের গাবুরজান গ্রামের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে, বানভাসী মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ঘরের চালে।
উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট অঞ্চল গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্যা কবলিত। ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে রেকর্ড বৃষ্টিতে বন্যার কবলে পড়ে বাংলাদেশের দাক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। তাতে মৌসুমের তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি হয়ে আছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার ৩৫ লাখ মানুষ। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটকসহ আশ্রয়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
সিলেট-সুনামগঞ্জে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রও বন্ধ রাখে বিদ্যুৎ বিভাগ। তাতে পুরো সুনামগঞ্জ জেলাসহ ১৬ উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। সোমবার থেকে আবার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করেছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের আটটি নদীর ১৮ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় যমুনা নদী ফুলছড়িতে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার, বাহাদুরাবাদে ৫৫ সেন্টিমিটার, সারিয়াকান্দিতে ৫৯ সেন্টিমিটার, কাজীপুরে ৫৬ সেন্টিমিটার, সিরাজগঞ্জে ৪৯ সেন্টিমিটার এবং পোড়াবাড়িতে ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছিল।
ব্রহ্মপুত্র তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে রয়েছে। এর মধ্যে নুনখাওয়ায় ২৩ সেন্টিমিটার, হাতিয়ায় ১০৭ সেন্টিমিটার ও কুড়িগ্রামের চিলমারী পয়েন্টে ৫৭ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তরে ধরলা নদী কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার, ঘাগট নদী গাইবান্ধা পয়েন্টে ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি বইছে।
সিলেট অঞ্চলে সুরমা নদী কানাইঘাটে বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার, সিলেটে ৪১ সেন্টিমিটার ও সুনামগঞ্জে ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ওই তিনটি পয়েন্টেই পানি কিছুটা কমেছে। কুশিয়ারা নদী অমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮৪ সেন্টিমিটার এবং শেওলা পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি বইছিল মঙ্গলবার সকালে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ নদীর পানির উচ্চতায় হ্রাসবৃদ্ধি ঘটেনি। তবে খোয়াই নদীর পানি বেড়ে বাল¬া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার এবং সোমশ্বেরী নদী নেত্রকোনার কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমা থেকে ৮০ সেন্টিমিটার উপরে বইছিল। এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৬৪ মিলিমিটার, অরুণাচলের পাসিঘাটে ৪৩ মিলিমিটার এবং জলপাইগুড়িতে ৫৭ মিলিমিটার। একই সময়ে বাংলাদেশের টেকনাফে ৭৪ মিলিমিটার, বরগুনায় ৫৫ এবং পঞ্চগড়ে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, খুলনা,বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া আগামী ৭২ ঘণ্টা বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে বন্যায় ৩৬ জনের মৃত্যু:
বন্যায় সিলেট, ময়মনসিংহ এবং রংপুর বিভাগে ১৭ মে থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মোট ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো বন্যা বিষয়ক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ১৭ মে থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন, রংপুর বিভাগে তিন জন এবং সিলেট বিভাগে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মৃত ৩৬ জনের মধ্যে বজ্রপাতে ১২ জন, সাপের কামড়ে একজন, বন্যার পানিতে ডুবে ১৭ জন এবং অন্যান্য কারণে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলাভিত্তিক মারা যাওয়া তালিকার শীর্ষে রয়েছে, সিলেট জেলায় ১০ জন, সুনামগঞ্জে পাঁচজন, ময়মনসিংহে পাঁচজন, নেত্রকোনায় চারজন, জামালপুর তিনজন, শেরপুরে তিনজন, মৌলভীবাজারে তিনজন, কুড়িগ্রামে দুইজন এবং লালমনিরহাটে একজন রয়েছে।
কুড়িগ্রামে বন্যার অবনতি:
ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে প¬াবিত এলাকার পরিধি, বাড়ছে দুর্গত মানুষের সংখ্যা। প্রশাসনের দেওয়া তথ্য মতে, চলমান বন্যায় জেলায় ৯ উপজেলার ৪৯ ইউনিয়নের ৩৫ হাজার ৪০৩ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে প¬াবিত হওয়ায় ২৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৩২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে। নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশি¬ষ্টরা। এদিকে, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জেলায় প্রতিটি উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল দপ্তররের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সরকারিভাবে ত্রান সহায়তা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে বিতরণের ধীর গতিতে এখনও অনেক দুর্গত এলাকার মানুষ সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠ ও আশেপাশের এলাকা প¬াবিত হওয়ায় জেলার ৯ উপজেলার ২৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত রয়েছে। এছাড়াও ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি মাদ্রাসা ও ১টি কলেজের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় প¬াবিত হয়েছে নাগেশ্বরী উপজেলায়, ৭৯টি। এরপরেই রয়েছে রৌমারী, ৬৮টি। এছাড়াও উলিপুরে ৫৮, চিলমারীতে ৩৮, সদরে ১৮, রাজীবপুরে ১৭, ভূরুঙ্গামারীতে ৭, ফুলবাড়ীতে ৬ এবং রাজারহাটে ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।
এদিকে চলমান বন্যায় মানুষের সাথে গবাদি পশু পাখিও চরম ক্ষতির শিকার হয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে প¬াবিত এলাকায় প্রায় ৪২ হাজার গরু, মহিষ ও ভেড়া বন্যা কবলিত হয়েছে। আর মৎস্য বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে জেলায় ১৩৩ দশমিক ৭৯ হেক্টর পুকুর ও জলাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৬৬ দশমিক ৬১ মেট্রিকটন মাছ এবং ৬ দশমিক ৫৫ মেট্রিকটন মাছের পোনা ভেসে গেছে। এ খাতে এ পর্যন্ত প্রায় কোটি টাকার ওপর ক্ষতি হয়েছে বলে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য নৌকা কিনবে সরকার:
সিলেটের বিশ্বনাথে বন্যায় দুর্গতদের দেখে গেলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়ার অনুরোধে বিশ্বনাথে যান। উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে বসে তিনি বলেন, দেশের বন্যা দুর্গত উপজেলাগুলোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নৌকা (বোট) ক্রয় করা হবে। বন্যা হলে এই নৌকা দিয়ে বন্যার্তদের উদ্ধার ও খাবার বিতরণ করা হবে। পরে বন্যার্ত মানুষের কাছে দুর্গতির কথা শুনে তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
বজ্রাঘাতে প্রাণ গেলো ৪ জনের:
বজ্রাঘাতে তিন জেলায় চার জনের প্রাণ গেছে। মঙ্গলবার (২১ জুন) নওগাঁ, মেহেরপুর ও গাইবান্ধায় কৃষি কাজ করতে গিয়ে মাঠে তিন কৃষক এবং মাছ ধরতে গিয়ে আরেকজন বজ্রাঘাতে প্রাণ হারান। নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, মান্দায় বজ্রাঘাতে কৃষক জমসেদ আলী (৪০) ও জেহের আলীর (৭০) মৃত্যু হয়েছে। এ সময় কৃষক তৌহিদুল ইসলাম (৭০) ও আসলাম (৪৫) আহত হন। বিকালে উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জমসেদ আলী নারায়ণপুর গ্রামের সেফাতুল্যার ছেলে এবং জেহের আলী একই গ্রামের জুমন আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, চৌদ্দমাইল মোড় সংলগ্ন জয় ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন মাঠে কৃষকেরা ধান রোপণের কাজ করছিলেন। আকাশের অবস্থা খারাপ দেখে তারা আশ্রয় নেওয়ার জন্য চৌদ্দমাইল মোড়ে আসছিলেন। এ সময় বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই জমসেদ আলী ও জেহের আলী প্রাণ হারান।
মেহেরপুর প্রতিনিধি জানান, নিজ জমিতে ধান রোপণের সময় বজ্রাঘাতে কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে বজ্রাঘাতে দুই গৃহবধূসহ আহত হয়েছেন চার জন। নিহত আবু বক্কর সিদ্দিক মেহেরপুর সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে। দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। বজ্রাঘাতে আহতরা হলেন, একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী আঙ্গুরা খাতুন (৩০) ও রাজাপুর গ্রামের মজিদুল ইসলামের স্ত্রী কোহিনুর বেগম (২৫), রাধাকান্তপুর গ্রামের কৃষক আহসান আলী (৪০) ও রহমতুল¬াহ। আহত আঙ্গুরা ও কোহিনুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ২৫০ শয্যার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বেলাল হোসেন সুমন। মেহেরপুর সদর থানার ওসি জুলফিকার আলী বজ্রাঘাতে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রাঘাতে এরশাদ ম-ল (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরশাদ ম-ল রামচন্দ্রপুর গ্রামের বছু মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বিপ¬ব। তিনি জানান, দুপুরে বাড়ির পাশের একটি জলাশয়ে মাছ ধরছিলেন এরশাদ। এ সময় হালকা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই এরশাদ প্রাণ হারান।