টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কাকে বলে সেটাই যেন বাংলাদেশকে ধরে ধরে শেখালো ইংল্যান্ড। একই সঙ্গে এটাও বুঝিয়ে দিলো ছোটদল আর বড় দলের মধ্যে পার্থক্য। বুধবার (২৭ অক্টোবর) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে টাইগারদের ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ইংলিশরা।

এর মধ্য দিয়ে টানা দুই জয়ে বি গ্রুপের শীর্ষে উঠে এলো দলটি। অপরদিকে, দুটো ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা অনেকটাই কমে এলো বাংলাদেশের।

১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪.১ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছেন জেসন রয়। ওপেনিংয়ে জস বাটলারের সঙ্গে মিলে জয়ের ভিত গড়ে দেন তিনিই। বাটলার করেছেন ১৮ রান। এছাড়া ডেভিড মালান ২৮ ও জনি বেয়ারেস্টো ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশি বোলাররা কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেননি। পুরো সাবলিলভাবে ব্যাটিং করেছেন ইংলিশ ব্যাটাররা। অথচ তার আগেই শুরুতে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের ইনিংসে ধস নেমেছিল। ইংলিশ ব্যাটাররা ক্রিজে নামার পর যেন হঠাৎ করেই আবুধাবির মাঠ ব্যাটিং পিচ হয়ে গেলো! বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

আজও নিজের ব্যাটিং দক্ষতার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস। শুরুতেই দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাঈম শেখের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। দলীয় ১৪ রানের মাথায় দুই ওপেনারের বিদায় হয়। দারুণ ডেলিভারিতে তাদেরকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেন মঈন আলি।

এরপর ২৬ রানের সময় ওকসের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে গেছেন সাকিব আল হাসান। পরে জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ৬৩ রানের সময় ব্যক্তিগত ২৯ রান করে ফিরে যান মুশফিকও। আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি।

আউট হওয়ার আগে ১৯ রান করেন রিয়াদ। শেষ দিকে ৯ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন নাসুম আহমেদ। তার এই স্কোরের ওপর ভর করেই কোনোরকমে মান বাঁচে টাইগারদের। এছাড়া সোহান ১৬ ও শেখ মেহেদী ১১ রান করেন।

ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেছেন মিলস। এছাড়া মঈন আলি ও লেভিংক্সটোন ২টি করে এবং ওকস নেন একটি উইকেট।