দীর্ঘদিন পর ফের হুমকি-ধমকির ধারায় ফিরলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এবারও হুশিয়ারি সেই যুক্তরাষ্ট্রকেই।

বিশ্বের সামরিক পরাশক্তি দেশটিকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় শত্রু যুক্তরাষ্ট্রই।

ওয়াশিংটনে যিনিই প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আসুন না কেন, পিয়ংইয়ং-এর ব্যাপারে তাদের শত্রুতার নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না।

ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির বিরল এক কংগ্রেসে তিনি বক্তব্য দেওয়া সময় এসব কথা বলেন। এ সময় দেশের সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি ও পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারের ঘোষণাও দেন তিনি। খবর সিএনএনের।

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষমতাগ্রহণের মাত্র ১১ দিন আগে শুক্রবার নতুন করে হুমকি দিলেন কিম।

তার এ হুঁশিয়ারি ওয়াশিংটনে নতুন সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কেউ কেউ বলছেন কিমের এই ঘোষণা আসন্ন বাইডেন সরকারকে আগাম হুমকির শামিল।

ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির মাত্র অষ্টম কংগ্রেস অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে কিম বলেন, শত্রুবাহিনী যদি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা না করে তাহলে কোনো সময়ই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের আগ্রহ নেই পিয়ংইয়ং-এর।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিপ্লবের সবচেয়ে বড় বাধা হলো যুক্তরাষ্ট্র। তারা আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। তারা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নীতিতে কখনোই কোনো পরিবর্তন আনবে না।

পরমাণু অস্ত্রাগার ও এর মজুদ আরও বিশালভাবে সমৃদ্ধ করার ঘোষণা দিয়ে কিম বলেন, এরই মধ্যে নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের পরিকল্পনা অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় কে এলো, তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। উত্তর কোরিয়া নিজ নীতিতেই পরিচালিত হবে।

কিম জং উন বলেন, আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা বিভাগের উন্নতি করব। শত্রু মোকাবিলায় আমরা উন্নত অস্ত্রের মজুদ বাড়াব। পরমাণু অস্ত্রের কার্যক্রম নিজস্ব গতিতেই চলবে। পরমাণু চালিত সাবমেরিন তৈরি করার চিন্তাও করছি আমরা।

তিনি বিশ্বকে মনে করিয়ে দেন, শত্রুর হামলা প্রতিরোধে যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার অধিকার উত্তর কোরিয়ার আছে। কোনো দেশের উচিত নয়, উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা।