/ বাগেরহাটের রাস্তা দেখে মনে হয়নি এটা খানজাহানের খলিফাতাবাদ

বাগেরহাটের রাস্তা দেখে মনে হয়নি এটা খানজাহানের খলিফাতাবাদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির পথসভায় নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আমরা জানি, বাগেরহাটের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। এই শহর আজকের নয়, অন্তত: পাঁচ শত বছরের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে বাগেরহাট। এ শহরের নাম ছিল খলিফাতাবাদ, যার গোড়াপত্তন করেছিলেন খানজাহান(রহ:)। এই বাগেরহাট শুধুমাত্র বাংলার নয়, বিশ্বের মানচিত্রে একটি অনন্য নিদর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাগেরহাটকে বলা হয় মসজিদের শহর, দিঘির শহর, বিলের শহর। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ যখন আমরা একটি মিছিল নিয়ে বাগেরহাট শহরে প্রবেশ করছিলাম, তখন রাস্তার অবস্থা দেখে মনেই হয়নি এটা খানজাহান আলীর সেই খলিফাতাবাদ। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। আমরা এখনো বাগেরহাটের ঐতিহ্যকে বিশ্বদরবারে যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারিনি।


গতকাল শনিবার রাতে বাগেরহাট শহরের রেলরোড চত্বরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে আমাদের সামনে এগোতে হবে। আমরা কোনো দলের বিরোধিতা করি না, আমরা কোনো দলের বিরুদ্ধে বলি না। আমরা বলি, পুরনো বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে, আমরা বলি, পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। যারা এই পুরনো বন্দোবস্তকে টিকিয়ে রেখেছে, চাঁদাবাজি ও মাফিয়া রাজনীতিকে লালন করেছে, তাদের বিরুদ্ধেই আমাদের অবস্থান। এই গণঅভ্যুত্থানের শক্তি কোনো নির্বাচনী ভাগবাটোয়ারায় বিশ্বাস করে না। এই শক্তি কখনোই পুরনো বন্দোবস্তের সঙ্গে আপস করবে না। আমরা বলেছি, রাষ্ট্র সংস্কার ও দেশ পুনর্গঠন করতে হবে। সে লক্ষ্যে আমাদের দরজা এখনো খোলা আছে। যদি আপনারা এখনো সেই দরজায় প্রবেশ না করেন, যদি এখনো সংস্কারের পথে না আসেন, যদি পুরনো ব্যবস্থাকে সমর্থন করেন, যদি চাঁদাবাজ, দুর্নীতিপরায়ণ মাফিয়া রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখতে চান, তাহলে জেনে রাখুন, জনগণ এখন জেগে উঠেছে। জনগণ কীভাবে আপনাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছে, তা আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন। এখনো সময় আছে, সরে আসুন মাফিয়া ও দুর্নীতির রাজনীতি থেকে, নইলে জনগণ কোনোভাবেই আপনাদের আর গ্রহণ করবে না।”


পথসভায় আরও বক্তব্য দেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ।


এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাহিদা সারওয়ার নিভা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, ড. মাহমুদা মিতু, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোল্লা রহমাতুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবিন, বাগেরহাটের প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দ মোরশেদ আনোয়ার, যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. শফিউল্লাহ ও আবিদ আহমেদ, জেলা সদস্য লাবীব আহমেদ, আল আমিন খান সুমন, অ্যাডভোকেট আল আমিন, অ্যাডভোকেট জান্নাতুল বাকি প্রমুখ।