অবৈধ নিয়োগ ও অর্থ আত্মসাৎ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করে আতœসাৎ করার অভিযোগে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনায় মামলা দুটি করা হয়। মামলা দুটি দায়ের করেন দুদক খুলনা জেলা কাযালয়ের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ। অবৈধ নিয়োগের ঘটনায় হাবিবুর রহমানসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর কাজ না করে টাকা আতœসাতের ঘটনায় আসামি করা হয়েছে হাবিবুর রহমান ও পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে। দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুল হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বাগেরহাট পৌরসভার অনুকূলে দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বাগেরহাটের আবহনী ক্লাবের কমপ্লেক্স ভবন (প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ) ও একই জেলার ডায়াবেটিস হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজের জন্য এক কোটি টাকা (৫০ লাখ করে) উত্তোলন করা হয়। কিন্তু দুদকের তদন্তে ওই দুই প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম পরস্পর যোগসাজশে ওই টাকা আতœসাৎ করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৭ সালে কোনো প্রকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ১৭ জন কর্মচারীকে পৌরসভার বিভিন্ন পদে চাকরি দিয়েছেন মেয়র হাবিবুর রহমান। ওই নিয়োগগুলোকে অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করে দুদক বলছে মেয়র ও নিয়োগ প্রাপ্তরা পরস্পর যোগসাজশ করে বেতন-ভাতা বাবদ এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আতœসাৎ করেছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু মামলা হয়েছে তাই আদালতের মাধ্যমেই এর নিস্পত্তি হবে। আমি যদি আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে না পারি তাহলে আমার শাস্তি হবে। আর যদি নির্দোষ প্রমাণিত হয় তাহলে কোনো কিছুই হবে না।’
দুদক সমন্বিত জেলা কাযালয় খুলনার উপপরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, মামলা দুটি আমলে নেওয়া হয়েছে। এখন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।