দিলীপ বর্মণ ঃ বছর ঘুরে আবার এলো পহেলা বৈশাখ। আর একদিন বাদে বাঙালি উদযাপন করবে বাংলা নববর্ষ-১৪৩০। পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশজুড়ে চলবে এই উৎসব। মানুষের ঢল নামবে রাস্তায়। বৈশাখের প্রথম সকাল শুরু হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায়। এই দিন বাঙালির পোশাকেও থাকবে বৈচিত্রতার ছাপ। লাল-সাদার স্নিগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে, গানে-গানে হবে নববর্ষ বরণ- এসো হে বৈশাখ এসো এসো….।
বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার প্রতীক। এর সাথে রয়েছে বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও চেতনা-নিজস্বতার জগৎ। সেই জগৎ গোটা বাঙালি জাতির । কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের নয়। বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এই উৎসব কালক্রমে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সর্বজনীন উপলক্ষ হয়ে উঠেছে। তাইতো বর্ষবরণ উৎসবের মাধ্যমে বিশ^মঞ্চে বাঙালির জাতি সত্ত্বা সমহিমায় প্রতিভাত হয়।
সারা দেশের ন্যায় খুলনাতেও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় পহেলা বৈশাখ উদয়াপন করা হবে। সেই জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনার বিভিন্ন প্রশাসনিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলো। পবিত্র রমজান মাসের কারণে উৎসব আয়োজনে রাখা হয়েছে বিশেষ সর্তকতা। সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে খুলনার সকল সংগঠনের সম্মিলিত অংশগ্রহণে পহেলা বৈশাখের বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে। র‌্যালিটি খুলনা রেল স্টেশন থেকে শুরু হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রঙ্গণে শেষ হবে। এই র‌্যালিতে নগর পিতা তালুদার আব্দুল খালেক ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন পর্যয়ের ব্যক্তিবর্গের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বর্ষ বরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে। উদিচী শিল্পী গোষ্ঠী খুলনার আয়োজনে সকাল ৬ টা ৩০ মিনিটে সার্কিট হাউজ মাঠের উত্তর পাশে কোর্টের সন্মুখে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান শুরু হবে। নগরীর হাদিস পার্কে গানের তরীর আয়োজনে প্রথম প্রহরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে। এ বৎসর রমজানের কারণে খুলনার ঐতিহ্যবাহী জাতিসংঘ শিশু পার্কে বৈশাখী মেলা বসবে না। আব্বাস উদ্দিন একাডেমির আয়োজনে এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে না। নগরীর বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খুলনা প্রেস ক্লাব, রূপান্তরসহ বিভিন্ন সংগঠন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।