দিলীপ বর্মণ: অতিবৃষ্টির কারণে সবজির ভরা মৌসুমেও দাম ছিল চড়া। তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে এখন কিছুটা কমেছে সবজির দাম। ভারত থেকে শুল্কমুক্ত চাল আমদানি হওয়ায় বাজারে সবপ্রকার চালের দামও কমতে শুরু করেছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এখন সবজির দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, দাম কিছুটা কমলেও তা সকলের নাগালের মধ্যে-এমনটা বলা যাচ্ছে না। শুধুমাত্র পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া ও কাঁচকলা ছাড়া সব সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। সবজি ও চালের দাম কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন, মসলা, মাছ ও মাংসের দাম। ভরা মৌসুমে বাজারে ইলিশের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে।
নগরীর কয়েকটি বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে সবচেয়ে বেশী দাম ফুলকপির। বাজারে ফুলকপির কেজি ২৪০ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা। গত সপ্তাহে বেগুনের কেজি ছিল ১৫০ টাকা। টমেটোর কেজি ১২০ টাকা, ওলের কেজি ৯০ টাকা। গত সপ্তাহে ওলের কেজি ছিল ১০০ টাকা। বাজারে উচ্ছে, কাকরোল, কচুর লতির কেজি ৮০ টাকা। পটল ভেন্ডি, কচুমুখী, ঝিঙা, চিচিংগা, বরবটির কেজি ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে এইসব সবজির কেজি ছিল ৭০-৮০ টাকা ।
অতিবৃষ্টির প্রভাবে গত দুইমাস ধরে কাঁচা মরিচের দাম অপ্রত্যাশিত ভাবে বেড়েছিল। এখন কিছুটা কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম এখন ১৬০ টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে মসলার বাজার। গতমাস থেকে বাজারে সব ধরনের চালের দাম ৫-১০ টাকা বেড়েছিল। মোটা চালের দাম ৪৮ টাকা থেকে ৫২ টাকা, স্বর্ণা ৫৪ টাকা থেকে ৫৮ টাকা, বালাম ৫৮ টাকা থেকে ৬৪ টাকা, মিনিকেট ৬৬ টাকা থেকে ৭৪ টাকা, মিনিকেট বেশী দামী ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকা, বাসমতি ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা, বাসমতি বেশী দামী ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা। বর্তমানে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে।
মাছের বাজার দীর্ঘ দিন ধরে চড়া। ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ইলিশের কেজি ৯০০ টাকা। বয়লার মুরগীর কেজি ১৮০ টাকা। কক ২৭০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা অতিক্রম করেছে। সোনালী ২৭০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা। দেশী মুরগীর দাম ৫২০ টাকা। দেশী হাঁসের কেজি ৩৫০ টাকা।