স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিরোধপূর্ণসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নিয়ন্ত্রণে থাকা ঘাটগুলোর মালিকানা যাচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃপক্ষের আয়ত্তে। আগামী অর্থ বছর থেকে এ নিয়ম বাস্তবায়ন হবে বলে জানা গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌপথের ঘাট/পয়েন্ট বিরোধ নিষ্পত্তিকল্পে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রনালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন, সড়ক ও জনপথ, পৌরসভা, রেলওয়েসহ বিভিন্ন দপ্তরের সাথে ঘাট রক্ষণাবেক্ষণ, সংষ্কার এবং উন্নয়ন কাজ নিয়ে মতবিরোধ বাধে। কিছু কিছু ঘাটের আবার ইজারা আদায় করে থাকে উক্ত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু উন্নয়ন ও মেরামতের কাজ বাস্তবায়ন করতে হয় বিআইডব্লিউটিএ। অথচ নদী রক্ষনাবেক্ষনে ড্রেজিংসহ আনুসঙ্গিক কাজ করে বিআইডব্লিউটিএ। ফলে এর ইজারা গ্রহণের দায়িত্বও সরকারি এ সংস্থার হওয়া উচিত। তবে সরকারের অন্যান্য সংস্থাগুলোর মধ্যে এমনও হয়েছে যে কোন এক সময় ওই সংস্থা উন্নয়ন করেছিল বিধায় ঘাটের মালিকানাও দাবি করে তারা। তবে মেরামত এবং সংস্কার আবার বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকেই করতে হয়। এসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিনের একটি জটিলতা ছিল। আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর আগামী জুন মাস থেকে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে সম্প্রতি বিরোধপূর্ণ ঘাটগুলোর ইজরা দেওয়া এবং সংরক্ষণের জন্য আন্তমন্ত্রনালয় বৈঠকে একটি সিদ্ধান্তে আসেন কর্মকর্তারা। সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে-বিআইডব্লিউটিএ ঘাট রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনের দায়িত্বে থাকবে, বিরোধপূর্ণ ঘাট নিয়ে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি, ইজারা প্রদানের ক্ষমতা শুধু বিআইডব্লিউটিএ’র থাকবে, বিরোধপূর্ণ ঘাটের ইজারা বন্টনে গঠিত কমিটি স্বিদ্ধান্ত দেবে, আপাতত ঘাটগুলির ইজারা যে সংস্থা দিয়েছে তার নিয়ন্ত্রন আগামী জুন পর্যন্ত তাদের হাতে থাকবে এবং ইজারা প্রদানে পিপিআর ২০০৮ বলবৎ থাকবে।
তবে এ সিদ্ধান্ত সংস্থাগুলি মানবে কিনা তা নিয়েও দেখা দিয়েছে জটিলতা। জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে খুলনায় কয়েকটি ঘাট রয়েছে। যেগুলো দীর্ঘদিন ধরেই তাদের আয়ত্বে। একই সাথে ইজারাও প্রদান করে তারা। নতুন করে এমন সিদ্ধান্ত মানার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, জেলা পরিষদ যে ঘাটের সৃষ্টি করেছে সেটি তারা কেন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের নিকট দেবে। এর আয় ব্যয় রক্ষণ করবে জেলা পরিষদ।