খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজ এলাকার কেন্দ্রস্থলে পচা-মজা বর্জ্য ও আবর্জনার দুর্বিষহ দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।
প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশার মানুষ এই পথ দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু সড়কের পাশে জমে থাকা দুর্গন্ধযুক্ত আবর্জনার স্তুপের কারণে এলাকাবাসী ও পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কোনো নির্ধারিত ডাস্টবিন ছাড়াই কলেজ মোড় এলাকায় ময়লা আবর্জনা এনে ফেলে রেখে যাচ্ছেন। বাধা দিলে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা উল্টো খারাপ ব্যবহার করছেন এবং বলেন, এটি সুপারভাইজারের নির্দেশ।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ময়লার স্তুপ থেকে মাত্র ৫ গজ দূরেই এলাকার একমাত্র টিউবওয়েলটি অবস্থিত, যা এখন ব্যবহারের অনুপযোগী। স্থানীয়দের দাবি, পচা-ময়লা আবর্জনা প্রায়ই টেনে এনে ওই টিউবওয়েলের মুখে ফেলে রাখা হয়, ফলে পানির উৎস মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে এলাকার ব্যবসায়ী সারেং চায়ের দোকানের মালিক, বিসমিল্লাহ সিল ঘরের মনিরুজ্জামান, কাঠ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ও হারুন, ফরিদ এন্টারপ্রাইজের ফরিদ, তপু হেয়ার ড্রেসারের তপু, খোকন সান ঘরের মালিক, তুহিন টেলিকমের তুহিন ও ইফাত হোমিও হলের মালিকসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,শুধু দুর্গন্ধ নয়, এর ফলে আমরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
তারা আরও বলেন, নীতিগত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিজেদের ইচ্ছেমত এলাকা অপরিচ্ছন্ন করে তুলছেন। কুকুর-কাক বর্জ্য টেনে এনে এলোমেলো করে, জনচোখে দৃষ্টিকটু এবং বাস্তবে বিপজ্জনক পরিবেশ তৈরি করছে।
কলেজ রোড দোকান মালিক সমিতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই অস্বাস্থ্যকর অবস্থার দ্রæত সমাধান না হলে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ী সমাজকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি,নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন স্থাপন,টিউবওয়েলের পানি বিশুদ্ধকরণ ও নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের তদারকি না হলে জনস্বাস্থ্য সংকটে পড়বে পুরো এলাকা।