স্টাফ রিপোর্টার ঃ গতমাসের শেষ দিকে দু’দিন খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ছিল করোনায় মৃত্যুশূন্য। আর এ মাসের বিগত ২৫ দিনের মধ্যেই পাঁচদিন ছিল মৃত্যুশূন্য। মৃত্যুর পাশাপাশি করোনা শনাক্তের সংখ্যা এবং হারও কম খুলনায়। সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর্যায়ক্রমে সকল মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের দেয়া দৈনন্দিন হিসাবে দেখা যায়, চলতি মাসের ৮, ৯, ১৫, ২২ ও ২৪ তারিখ বিভাগের ১০ জেলা ছিল করোনায় মৃত্যুশূন্য। আর গত মাসের ২৪ ও ৩০ তারিখ ছিল এমনটি।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গত ২২ অক্টোবর সকাল আটটা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় বিভাগে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে ওই সময়ে বিভাগে করোনা শনাক্ত হয় সাতজনের। ঠিক একই অবস্থা ছিল গত ২৪ অক্টোবরও। এর আগেও চলতি মাসের ৮, ৯ ও ১৫ তারিখ করোনায় মৃত্যুশূন্য থাকলেও শনাক্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩৪, ১৩ ও ২৪জন। অর্থাৎ আগের চেয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও কমেছে। তবে গতকাল সকাল পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র কুষ্টিয়ায় করোনায় একজনের মৃত্যু ও নয়জনের শনাক্ত হয়। এর আগে ২৪ অক্টোবর সাতজন ও ২৩ অক্টোবর ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
গাজীতে রোগী নেই, অন্য দু’টিতে ৩১ ঃ খুলনার তিনটি হাসপাতালের মধ্যে দু’টিতে গতকাল সকাল পর্যন্ত রোগী ছিলেন ৩১জন। তবে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোন রোগী ছিলেন না। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আওতাধীন পরিচালিত ২শ’ শয্যা বিশিষ্ট ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে গতকাল সকাল পর্যন্ত ২০জন রোগী ভর্তি ছিলেন বলে হাসপাতালের মুখপাত্র ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার জানান। এছাড়া খুলনার সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল সকাল পর্যন্ত করোনা রোগী ছিলেন ১১জন। এটি জানিয়েছেন সেখানকার ম্যানেজার এইচআর এন্ড এডমিন মো: হামিদুল ইসলাম খান। তবে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: গাজী মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল সকাল পর্যন্ত ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ১০টি বেডে কোন রোগী ছিলেন না।