মাশরাফি, তামিম ও রিয়াদ।মাশরাফি, তামিম ও রিয়াদ।বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ম্যাচ দেখতে চট্টগ্রাম যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন। গতকাল বিমানবন্দরে যাওয়ার আগেই চট্টগ্রাম যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে জাতীয় দলের এ নির্বাচককে। কারণ আজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফটে ঢাকা বিভাগের দলটার প্রতিনিধিত্ব করতে হবে হাবিবুলকে। ঢাকার দলটা তাকেই গড়তে হবে ড্রাফটে বসে।হুট করেই ঢাকার দলটার ফ্র্যাঞ্চাইজি বাতিল হয়ে গেছে। বিসিবির দেওয়া নির্ধারিত সময়ে পে-অর্ডার তথা ৫ কোটি টাকা জমা দিতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বত্ব পাওয়া রুপা ফেব্রিকস লিমিটেড ও মার্ন স্টিল লিমিটেড। গত শুক্রবার বোর্ড সভাতেই তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিবি। নতুন করে ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি হতে আগ্রহী কোনো প্রতিষ্ঠান না পেলে, বিসিবি নিজস্ব অর্থায়নেই দলটা পরিচালনা করবে। কেউ আগ্রহী হলে সব শর্ত পূরণ করে আসতে হবে। দল গঠনের দায়িত্ব পাওয়া হাবিবুল গতকাল বলছিলেন, ‘সমস্যা নেই। আমরা তো এসবের মাঝেই থাকি। দেশের ক্রিকেটার তো সবই জানা, বিদেশি নিয়ে একটু হোম ওয়ার্ক করে যেতে হবে।’ বিপিএলে এর আগে খুলনা টাইটান্সের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছিলেন হাবিবুল।নাটকীয়তা, বিতর্ক যেন বিপিএলের সমার্থক হয়ে গেছে। যেমনটা গত ২২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত করা ফ্র্যাঞ্চাইজি তালিকা বদলে গেল গতকাল। ঢাকা স্টার্স নামে লোগো উন্মোচন করা হয়েছিল, কিন্তু তারাই বাদ পড়ে গেল ড্রাফটের আগে। আজ রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে বেলা ১২টায় শুরু হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট।যদিও গতকাল সন্ধ্যা অবধি বিসিবি বা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। পরে বিসিবির এক পরিচালক জানালেন, পে-অর্ডার জটিলতায় বাদ দেওয়া হয়েছে ঢাকা স্টার্সকে। প্লেয়ার্স ড্রাফটে দলটির হয়ে যাবেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার।আজ ড্রাফটেই বেশির ভাগ ক্রিকেটারের দল চূড়ান্ত হবে। ড্রাফটের আগে দল পেয়ে গেছেন দেশীয় ছয় ক্রিকেটার। সাকিবকে বরিশাল, মুস্তাফিজকে কুমিল্লা, মুশফিককে খুলনা, তাসকিনকে সিলেট, নাসুমকে চট্টগ্রাম এবং সৌম্যকে দলে টেনেছিল ঢাকা। যদিও সৌম্যর বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কী হবে তা নিশ্চিত নয়। তবে আজ ড্রাফটের মূল আকর্ষণ হচ্ছেন তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাশরাফি, তামিম ও মাহমুদউল্লাহ। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকলেও ড্রাফটের আগে দল পাননি তারা কেউই। তিন জনের পারিশ্রমিকই ৭০ লাখ টাকা। আজ তাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।প্রতিটি দল দেশীয় সর্বোচ্চ ১৪ জন, সর্বনিম্ন ১০ জন ক্রিকেটার দলে নিতে পারবে। বিদেশিদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮ জনকে নেওয়া যাবে। তবে একাদশে অবশ্যই তিন জন বিদেশি ক্রিকেটার রাখতে হবে। তবে বিদেশি কোটায় ইতিমধ্যে অনেক দলই দুই-তিন জন ক্রিকেটারের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করে ফেলেছে।