দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আগামী ১৭ অক্টোবর (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে, ইউজিসি চাচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা যেন কোনক্রমেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।

অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা এবং এ ব্যবস্থাকে কিভাবে আরো কার্যকর করা যায় সে লক্ষ্যে ভার্চ্যুয়াল প্লাটফর্মে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শহীদুল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘সমগ্র জাতি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা চাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দরকার।’

সভায় জানানো হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখনই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা মোটেও সমীচীন হবে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মতে, হল খোলা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার উদাহরণ তারা সভায় তুলে ধরেন।

ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগমের সঞ্চালনায় সভায় কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদসহ ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কমিশনের সচিব (অ.দ.) ড. ফেরদৌস জামান, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন সভায় অংশ নেন।