আবারও মামলা, আজকের শুনানীর
ওপরই করছে ভোটের ভবিষ্যৎ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’টি পক্ষই এখন সরব। এক পক্ষ নির্বাচনে অংশ নিলেও তাদের পক্ষে একজন উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের রায়ের আলোকে ফ্রেশ তফশিলে নির্বাচন দেয়া, ভোটার তালিকা থেকে ভুয়া ভোটার বাতিল, সময় নিয়ে সকলকে প্রচারণায় সমান সুযোগ দিয়ে পুন:তফশীল ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে দায়ের করা মামলার শুনানী আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে বলে ঢাকায় অবস্থানরত কয়েকজন জানান।
অপরদিকে, সারাদেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ১৬ এপ্রিল ভোট গ্রহনের লক্ষ্যেও অপর পক্ষটি এগিয়ে যাচ্ছে। যার অংশ হিসেবে খুলনায়ও চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বিশেষ করে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে আগত ওষুধ ব্যবসায়ীরা ভোট দেবেন নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল সংলগ্ন খুলনা কনভেনশন সেন্টার এন্ড লেট নাইট রেষ্টুরেন্টে।
অবশ্য খুলনার ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী থাকায় সম্প্রতি কেডিএ’র নিজস্ব ফান্ড থেকে সেটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। ওই হোটেলে আগামীকাল থেকে পরপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান রয়েছে বলে হোটেলের মালিক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অস্থায়ী ভিত্তিতে কেডিএ এ সংস্কার কাজটি বাস্তবায়ন করলেও তিনি এর সার্বিক দেখভাল করছেন। যেহেতু কাল ও পরশু দু’টি বড় অনুষ্ঠানের পাশপাশি শনিবার বিসিডিএস’র ভোট রয়েছে সেহেতু দিনের পাশাপাশি গতকাল সারারাত কাজ হয়েছে। আজও দিনের পাশাপাশি রাতেও কাজ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীকাল দুপুরের মধ্যে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করতে হবে।
এদিকে, ওষুধ ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির কেন্দ্রীয় এ নির্বাচনকে ঘিরে ওষুধ ব্যবসায়ীরা যেমন দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন তেমনি আবারও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হওয়ার আশংকাও থেকে যাচ্ছে। যে কারণে আগে একাধিকবার নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার পর এবারের নির্বাচনও শেষ পর্যন্ত কি হবে সেটি নির্ভর করছে আজকের উচ্চ আদালতের শুনানীর ওপর।
অবশ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে চললেও গতকাল পর্যন্ত খুলনার অনেক ভোটারের কাছেই পরিচয়পত্র পৌঁছেনি বলে জানা গেছে। যেটি নির্বাচনী স্বচ্ছতাকে বাঁধাগ্রস্থ করতে পারে বলেও অনেকের মন্তব্য।
যদিও নির্বাচনের জন্য মনোনীত খুলনার রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ মাসুদ আলী নিলু বলেন, ভোটারদের পরিচয়পত্র প্রস্তুত আছে। ভোটের আগেই ভোটারদের কাছে তা’ পৌঁছে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে তিনি দু’টি পরিষদের সাথে আলোচনা করেই নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করার জন্য বেশকিছু ব্যক্তির নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। যাদের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে।