নিজস্ব সংবাদদাতা, নেহালপুর (যশোর): প্রথমে ডায়াবেটিস, তারপর একে একে হার্ট, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের গুরুতর সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকূড় ইউনিয়নের হালসা গ্রামের ছবুর মোল্যার জ্যেষ্ঠ পুত্র আব্দুল কুদ্দুস (৫৭)। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে আজ তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
কুদ্দুস ছয় ভাইয়ের মধ্যে বড়। একসময় পৈত্রিকভাবে পাওয়া সামান্য জমিতে চাষাবাদ করে স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে ভালোভাবেই চলছিলো পরিবার। কিন্তু প্রায় ১০-১২ বছর আগে তার ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে। তখন থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা শুরু হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি; বরং হার্টের দুটি বাল্ব গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
গত ৩-৪ বছর আগে কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমানে কুদ্দুসের দুটি কিডনিই প্রায় অকেজো হয়ে গেছে। সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। এক বছর আগে শুরু হয়েছে চোখের সমস্যা, এখন চোখ দিয়ে সঠিকভাবে দেখতে পারেন না।
এতোসব সমস্যার মধ্যে নতুন করে শুরু হয়েছে শ্বাসকষ্ট। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে গত কয়েক মাসে খুলনার গাজী মেডিকেল হাসপাতাল, যশোরের ইবনে-সিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও কিংস হাসপাতালে একাধিকবার আইসিইউতে ভর্তি থাকতে হয়েছে তাকে।
বর্তমানে তিনি বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে শয্যাশায়ী। যশোরের কিংস হাসপাতালের ডাঃ শফিকুর রহমান, ইবনে-সিনা হাসপাতালের ডাঃ শরিফুল ইসলাম ও যশোর আই এন্ড লেজার সেন্টারের ডাঃ মনিরুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। কিডনি ডায়ালাইসিস চলছে যশোরের সোনার বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। কিন্তু চিকিৎসার ব্যয় এতটাই বেশি যে কুদ্দুসের পক্ষে আর তা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
চিকিৎসার খরচ জোগাতে একে একে বিক্রি করতে হয়েছে পরিবারের সমস্ত জমিজমা। একই সময়ে অসুস্থ স্ত্রীর হৃদযন্ত্রে রিং বসাতে হয়েছে, দুই কন্যার বিয়ের দায়িত্বও পালন করেছেন। এখন তিনি সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে চিকিৎসা ব্যয় ও দৈনন্দিন সংসারের খরচ চালাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
আব্দুল কুদ্দুস সবার কাছে আকুতি জানিয়ে বলেন, “আমি বাঁচতে চাই। কিন্তু আমার আর কোনো সামর্থ্য নেই। সমাজের দানশীল ও মানবিক মানুষের সহায়তা ছাড়া আমি আর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারবো না।”
এই মুহূর্তে কুদ্দুসের জন্য নিয়মিত ডায়ালাইসিস, ওষুধ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার খরচ বহন করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সমাজের দানশীল ও মানবিক ব্যক্তিদের কাছে আবেদন—আপনার সামান্য সহায়তা হয়তো তার জীবন বাঁচাতে পারে।
সহায়তা পাঠানোর বিকাশ নম্বর: ০১৭৭২-৮৬৭০২৩